480
ঢাকাশুক্রবার , ৭ জুন ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাজেটে রাজস্ব আসবে যে প্রক্রিয়ায়

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
হাওলাদার সবুর, ঢাকা
জুন ৭, ২০২৪ ১:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব। এবারের বাজেটের মূল স্লোগান ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর থেকে আসবে এক লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এছাড়া, ভ্যাট থেকে এক লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি, আমদানি শুল্ক থেকে ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৭০ কোটি, আবগারি শুল্ক থেকে পাঁচ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা ও অন্যান্য কর থেকে আসবে এক হাজার ৯৮০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক ‍শুল্ক, যানবাহন শুল্ক, ভূমি রাজস্ব, স্ট্যাম্প ও সারচার্জসহ সংশ্লিষ্ট খাত থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যাতীত প্রাপ্তি থেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্যে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রাজস্বের পরিমাণ জিডিপির ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, করজাল সম্প্রসারণ এবং কর আদায় ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন এবং হিউম্যান ইন্টারফেস কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবারই প্রথম বাজেট পেশ করেছেন।