480
ঢাকারবিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দীর্ঘ প্রায় দুই বছর আগ্রাসন চালানোর পর অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড থেকে নিজেদের কিছু সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। এখন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের পক্ষ থেকে শর্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলেই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এমনই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এমন ঘোষণার পর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে নতুন আরেক অগ্রগতির কথা জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউস গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিভিন্ন সীমারেখা দেখানো হয় সেখানে।

ট্রাম্প জানান, এই সীমারেখার মধ্যেই ইসরায়েল প্রাথমিক ধাপে কিছু সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিবিসি ভেরিফাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে।

এদিকে খুব শিগগিরিই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দিতে পারবেন, এমন আশা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া হামাসের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। দ্রুতই উপত্যকাটি থেকে হামাসের শাসনের সমাপ্তি ঘটানো হবে। এ সময় হামাসকে নিরস্ত্র করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিগিগিরই মিশরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবে দুই পক্ষ। মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ এবং জারেড কুশনারও বৈঠকে অংশ নেবেন।

তবে, হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ এখনও চলছে। ফ্লিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দুই বছরের এই হত্যাযজ্ঞ ও অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিদের্শ উপেক্ষা করে গাজায় এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সবশেষ একদিনে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজার বেসামরিক এলাকা ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে একদিনেই ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।