নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি নিযুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর চেয়ারম্যান এবং স্বতন্ত্র পরিচালক জুবাইদুর রহমান তার কাছে থাকা ব্যাংকের সমস্ত শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দাখিল করা নথিতে জানানো হয়েছে, তিনি আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করবেন। মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা, যার ভিত্তিতে বিক্রির মোট মূল্য প্রায় ৬৪ লাখ টাকা হতে পারে।
জুবাইদুর রহমান ২৩ জুলাই সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দ উল্লাহ আল-মাসুদের পদত্যাগের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনয়নে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
মজার ব্যাপার হলো, ব্যাংকের এপ্রিল মাসের শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্টে তার শেয়ার মালিকানা দেখা যায়নি, তবে জুলাই মাসের রিপোর্টে ১ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ার তার নামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের শেয়ার বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, জুবাইদুর রহমান প্রায় এক দশক আগে শেয়ারগুলো কিনেছিলেন, কিন্তু নথিপত্রে ত্রুটি থাকায় আগের প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরে সমস্যাটি সমাধান করা হয় এবং শেয়ারগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তার নামে নথিভুক্ত করা হয়।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি–জুন) ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮১ শতাংশ কমেছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের ৩ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৯,৭৭৭ কোটি টাকা, যার কারণে ২০২৪ সালের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা যায়নি—ব্যাংকের ৩২ বছরের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৬৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের ৩৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার তুলনায় অনেক কম। একই সঙ্গে শেয়ারপ্রতি আয়ও ২.২২ টাকা থেকে কমে ৪২ পয়সায় নেমেছে।