480
ঢাকাসোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেয়ারবাজারের আট লিজিংয়ের বিনিয়োগকারীদের নেই ঘুম

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ ১১:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় পদক্ষেপের কারণে। দীর্ঘদিন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে অচল হয়ে পড়া ৯টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।

তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রাইম ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিছু প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া, দায় পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজির ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিলুপ্তির প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রথমে বহিঃঋণদাতারা, এরপর আমানতকারীরা, ডিবেঞ্চার হোল্ডার এবং অগ্রাধিকারমূলক শেয়ারহোল্ডাররা পাওনা পাবেন। সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা তালিকার শেষ অবস্থানে থাকায় বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া অনেকটাই অসম্ভব। বিশেষজ্ঞরা দাবী করেন, দায়ী পরিচালক ও স্পন্সরদের ব্যক্তিগত সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতি পোষানোর ব্যবস্থা করা উচিত।

এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শেয়ারবাজারে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত সপ্তাহে শেয়ারের মূল্য ১৯–৩৩ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে অনেক শেয়ারই ১০ টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে, এমনকি কিছু শেয়ার ২ টাকারও নিচে নেমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, “আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত থাকবে। স্পন্সর-পরিচালকদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।” তিনি আরও জানান, বিলুপ্তি প্রক্রিয়া ফাইন্যান্স কোম্পানি অ্যাক্ট ২০২৩ অনুযায়ী, হাইকোর্টের অনুমোদন নিয়ে পরিচালিত হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করেনি। বিএসইসি’র মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করব।” তবে বিনিয়োগকারীরা কতটা টাকা ফেরত পাবেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংকট হঠাৎ তৈরি হয়নি। বহু বছর ধরে এসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে পতিত হয়েছে। এর প্রমাণ হিসেবে বলা যায় প্রশান্ত কুমার হালদারের কেলেঙ্কারি, যার মাধ্যমে চারটি এনবিএফআই থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ অবৈধভাবে উত্তোলিত হয়েছিল।