480
ঢাকারবিবার , ৩১ আগস্ট ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মার্জার ইস্যুতে শেষবারের মতো মুখোমুখি ৫ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগস্ট ৩১, ২০২৫ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংককে একীভূতকরণের বিষয়ে আজ (৩১ আগস্ট, ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকে শেষবারের মতো শুনানি শুরু হয়েছে। এই শুনানিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বোর্ড তাদের সর্বশেষ বক্তব্য উপস্থাপন করবে, যার ওপর ভিত্তি করে তাদের ভাগ্যে একীভূতকরণ হবে কি না, এবং কোন প্রক্রিয়ায় তা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হবে।

শুনানিতে অংশ নেওয়া পাঁচটি ব্যাংক হলো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

এই ব্যাংকগুলোকে তাদের মূলধন, তারল্য সহায়তা, খেলাপি ঋণ, নগদ সংরক্ষণের অনুপাত এবং প্রভিশনাল ঘাটতির সর্বশেষ অবস্থা উপস্থাপন করতে হবে। মে মাস পর্যন্ত এই পাঁচটি ব্যাংকের আমানত ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে, যেখানে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, খেলাপি ঋণের অংশ ৭৭ শতাংশ, যা ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

সরকার ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স অ্যাক্ট ২৫ জারি করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যাংক একীভূতকরণ বা নিজেদের অধীনে নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এক্সিম ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বরাবরই মার্জারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক দাবি করেছে যে তাদের ব্যাংকের অবস্থা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাই এই মুহূর্তে তারা একীভূত হওয়ার যোগ্য নয়। অন্যদিকে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক মনে করে, তাদের উদ্যোক্তাদের সাথে পরামর্শ না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

সবকিছু মিলিয়ে এই শেষ শুনানির ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে এসব ব্যাংকের ভবিষ্যৎ। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে, যা সরকারি বাজেট সহায়তা এবং আমানতকারীর ট্রাস্ট বীমা থেকে আসবে বলে জানা গেছে।