২৯ জুলাই, ১৯৮৫ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানি পিএলসি (বিজিআইসি)। এই দীর্ঘ যাত্রার মূলনায়ক হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পথচলা এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা প্রমাণ করে অটল বিশ্বাস, উদ্ভাবনী শক্তি এবং নিয়ম-নীতি মেনে চলার অঙ্গীকারকে। ১০ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধন নিয়ে শুরু হওয়া এ যাত্রা আজ একটি বাজার-নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
২০২৪ সালে বিজিআইসি’র স্থিতিশীল আর্থিক সক্ষমতার প্রতিফলন ঘটে ৮৫৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের মাধ্যমে, যা এর বাজার নেতৃত্ব ও সুদৃঢ় অবস্থানকে স্পষ্ট করে। তবে শুধু সাফল্যে থেমে না থেকে প্রতিষ্ঠানটি আজ ভবিষ্যতের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এক সামগ্রিক ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর আন্ডাররাইটিং, ডিজিটাল পলিসি ইস্যু এবং মোবাইলভিত্তিক ক্লেইম প্রসেসিং—সবকিছুই আজ গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে।
একইসাথে গ্রামীণ ও এসএমই খাতের জন্য ক্ষুদ্র বীমা ও বিশেষভাবে তৈরি পণ্য চালুর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ইএসজি নীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ ব্যবসা মডেল গড়ে তুলছে।
এই দীর্ঘ যাত্রার মূলনায়ক হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী। তিনি বিজিআইসি’র প্রতিষ্ঠার এক বছর পর, ১৯৮৬ সালে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে যোগ দেন। চার দশকব্যাপী কর্মজীবনের ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট তিনি প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতা বিজিআইসি’র উন্নয়নযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আন্ডাররাইটিং, ফাইন্যান্স, ক্লেইমস ও প্রশাসন প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রতিষ্ঠানটিকে দিয়েছে নতুন উচ্চতা। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বে বিজিআইসি শুধু আর্থিক সাফল্যই অর্জন করেনি, বরং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করেছে এবং বাজার অবস্থানকে সুসংহত করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও এসএমই খাতে সম্প্রসারণের মাধ্যমে তিনি দেশের সর্বস্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মোচন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জনকারী এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাগত সংগঠনের সাথেও যুক্ত, যা তাঁর বহুমুখী প্রতিভা এবং অবদানকে প্রকাশ করে।
আজ বিজিআইসি যখন নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন সেটি হচ্ছে এমন একজন নেতার সতর্ক ও দূরদর্শী নেতৃত্বে, যিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য।