480
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ মে ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি : আট মাসে বন্ধ ১৯ পোশাক কারখানা, চাকরি হারিয়েছেন ৭৮৯ পুরুষ শ্রমিক

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
মে ১, ২০২৫ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: এক সময় দেশের প্রধান অর্থ আয়কারী খাত ছিল চা শিল্প। যা রপ্তানি করে সবচেয়ে বেশি আয় হতো। সেই চা শিল্পকে পেছনে ফেলে এখন তার স্থান দখল করে নিয়েছিল তৈরি পোশাক শিল্প খাত। এই শিল্প দেশের প্রধান অর্থ আয়কারী শিল্প হিসেবে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে দীর্ঘ সময় ধরে। তবে নানা কারণে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। নিট শিল্পের অন্যতম প্রধান জেলা নারায়ণগঞ্জে গত আট মাসে ১৯টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাকরি হারিয়েছেন এক হাজার ৫৭৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ৭৮৯ জন।

বিকেএমইএ, শিল্প পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানাগুলোতে নানা কারণে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। এরসাথে যুক্ত হয়েছে গ্যাস-সংকট এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানাগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। নিট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে কার্যাদেশ না থাকা, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, উৎপাদন অপ্রতুলতায় নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া পোশাক শ্রমিকদের কেউ কেউ নানাভাবে উসকে দিয়ে এ খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ৫ আগস্টের পর প্রায়ই নানা দাবি নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কারখানায় কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে সময়মতো অর্ডার সরবরাহ করতে পারছেন না অনেক কারখানা মালিক।

জেলা শিল্পাঞ্চল পুলিশ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ছোটবড় মিলিয়ে সর্বমোট ৪৪২টি তৈরি পোশাক কারখানা সচল রয়েছে। আর বিভিন্ন কারণে গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত গত আট মাসে ১৯টি পোশাক কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯টি পোশাক কারখানার মধ্যে সিংহভাগই বন্ধ হয়েছে আর্থিক সংকট এবং পর্যাপ্ত কার্যাদেশের অভাবে।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪, নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিদর্শক (গোয়েন্দা) সেলিম বাদশা বলেন, কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি আবার অনেক কারখানা নতুন করে উৎপাদনে শুরু করেছে। কারখানাগুলোতে গ্যাস-সংকটজনিত সমস্যা আছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিভিন্ন সমস্যা মিলিয়ে আমরা কঠিন সংকটে রয়েছি। কারখানা পরিচালনা করতে আমাদের অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের যখন টিকে থাকাই দায়, তখন গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা আমাদের ওপর বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্প খাত ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিল্প খাতের জন্য আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন সংকটে পড়বে এবং নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের শিল্প কারখানা স্থাপনে নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ার সাথে সাথে যদি সে অনুযায়ী আমরা নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ পেতাম তাহলেও আমরা এতো ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না।

পোশাক কারখানা বন্ধের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বায়ার না পাওয়া, আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু মালিক পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তারাও আত্মগোপনে চলে গেছেন। আর এসব সমস্যার কারণে বিগত কয়েক মাসে গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জে ৯৫টি শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া গ্যাস-সংকটে উৎপাদনের গতি কিছুটা কমেছে।