480
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুনবার্সন কেন্দ্র

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মার্চ ২০, ২০২৫ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলেই এ দুটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। এখনো পর্যন্ত সেখানে বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছেন সেই সরকারের বিভিন্ন কুকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিরা। নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) থাকাকালীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ বারবার মিললেও অজানা কারণে তিনি জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে বহাল রয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব খায়রুল আলম সেখ এখনো সমাজসেবা অধিদপ্তরে তার আধিপত্য বজায় রেখেছেন। ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই কর্মকর্তার দুর্নাম সর্বত্র। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপিং তৈরি করে তিনি মন্ত্রণালয়ে নিজের প্রভাব বজায় রাখতে চাইছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

খায়রুল আলম সেখের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি হাসিনা সরকারের আমল থেকেই বেসরকারি প্রকল্প থেকে ১০ শতাংশ উৎকোচ নিতেন। এছাড়া, সরকারি ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজের বাবার নামে একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন তিনি মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এস আলমের বিদেশে নাগরিকত্বের ‘নথি’ অনুমোদন করেন। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) থাকাকালীনও তিনি সরকারি খাসজমি ইজারা ও অন্যান্য খাত থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে খায়রুল আলম সেখের নামও উঠে এসেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী খায়রুল আলম সেখের কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের এই কালো ছায়া থেকে মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।