480
ঢাকারবিবার , ৩১ মার্চ ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ট্রান্সকমের ওয়ালিউর রহমানের লাশ তোলার নির্দেশ 

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ
মার্চ ৩১, ২০২৪ ৭:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উবা প্রতিবেদক:ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের লাশ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) এই নির্দেশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকাকে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র উদ্যোক্তা বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী গত ২৪ মার্চ এই আদেশ দিয়েছেন। আদালতের

আদেশে বলা হয়েছে, একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।

মামলা দায়েরের পরদিন গুলশান থানা লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার জন্য আদালতের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সিমিনের ভাইকে হত্যার অভিযোগে গুলশান থানায় গত ২২ মার্চ এই মামলা দায়ের করা হয়। সিমিনের ছোট বোন শাযরেহ হক মামলা দায়ের করেন। এজাহারে শাযরেহ উল্লেখ করেন—তার ভাইকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান, আইন কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।

মামলার এজাহারে শাযরেহ হক বলেন, মুসলিম শরিয়া আইন অনুযায়ী তিনিসহ তাঁর মৃত বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান (৫৭) এবং মামলার এক নম্বর আসামি সিমিন রহমান তাঁর পিতার সকল স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ।

লতিফুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তিসহ তার প্রতিষ্ঠা করা ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার এবং পজিশন নিজেদের অনুকূলে হস্তগত করাসহ তাকে (শাযরেহ) এবং তার বড় ভাইকে (আরশাদ) সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন সিমিন রহমান ও তার ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন।

তাদের জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছরের ৮ জুন আরশাদ ওয়ালিউর রহমান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। এতে সিমিন রহমান আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তখন তিনি জীবনের নিরাপত্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর ৮ দিন পর গত ১৬ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরশাদ। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান-২ এর নিজের বাসার শয়ন কক্ষে মৃত ও চিৎ অবস্থায় দেখতে পান। যদিও তার শরীরে কোনো জটিল রোগ ছিল না।