480
ঢাকারবিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুঁজিবাজারে সেপ্টেম্বর মাসে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারী

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দেশের পুঁজিবাজার ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে। বর্তমান পুঁজিবাজারে একটানা উত্থান যেমন হচ্ছে না তেমনি একটানা পতন হচ্ছে না। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ফের বাজারমুখী হচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছিল। অবশেষে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।

ফলে সেপ্টেম্বরে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বেড়েছে ৪০টি। একই সময়ে বেড়েছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও। তবে পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০২৩ সাল থেকে। ওই বছরের নভেম্বর থেকে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে পুঁজিবাজার ছাড়তে থাকেন, যা অব্যাহত থাকে চলতি বছরের আগস্ট মাসেও। তবে সেপ্টেম্বর মাসে এসে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব বাড়তে দেখা গেল।

সিডিবিএলের তথ্যানুযায়ী, বর্তমান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি, যা গত ৩১ আগস্ট ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১টি। এ হিসাবে গত এক মাসে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৮২৬টি। বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ৪৩ হাজার ৮০১টি। গত ৩১ আগস্ট বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৪৩ হাজার ৭৬১টি। অর্থাৎ গত এক মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৪০টি।

এখন বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও, এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। বিদেশিদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০২৩ নভেম্বর থেকে। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ১১ হাজার ৭১১টি।

বিদেশি ও প্রবাসীদের পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে। সিডিবিএলের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৫টি, যা গত ৩১ আগস্টে ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪টি। অর্থাৎ গত এক মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৫৯১টি। এখন পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন।

২০২৪ সালের শুরুতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩২৪টি। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৬টি। গত ৩১ আগস্টে এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮টি।

অর্থাৎ গত এক মাসে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৫৭৮টি। অন্যদিকে, বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২০টি। গত ৩১ আগস্টে এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১টি। এ হিসাবে গত এক মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ৪৯টি।
পুরুষ ও নারী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি গত এক মাসে কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে।

বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৭৩১টি। গত ৩১ আগস্টে এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫৩২টি। এ হিসাবে এক মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ১৯৯টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭টি, যা গত ৩১ আগস্ট ছিল ১১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৮টি।

অর্থাৎ গত এক মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ৬ হাজার ২১৯টি। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯টি। গত ৩১ আগস্ট যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭১টি। অর্থাৎ গত এক মাসে যৌথ বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ৪০৮টি।

বাজারের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩১ আগস্ট প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্ট। সেখান থেকে এখন ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৭৯ পয়েন্ট।

অন্যদিকে, ৩১ আগস্ট ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। এখন ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। এদিকে হাজার কোটি টাকার ওপরে উঠে যাওয়া লেনদেন এখন ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে।