টার্গেট অ্যাচিভার্স কনফারেন্স
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র ১০ বছরে প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৪০ গুণ। ২০১৫ সালে লাইফ বীমা কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় ছিল ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে সেই প্রিমিয়াম আয় বেড়ে হয়েছে ৭৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে সোনালী লাইফের বীমা দাবি পরিশোধের হারও। ২০২৪ সালে মোট ৩৬০ কোটি গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে টার্গেট অ্যাচিভার্স কনফারেন্সের এসব তথ্য তুলে ধরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দুই হাজারের বেশি সফল বীমাকর্মী অংশ নেয়। এতে চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোম্পানির দেশসেরা সফল বীমা কর্মকর্তা ও কর্মীদের সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম, পরিচালক ফজলুতুন নেসা, মোস্তফা কামরুস সোবহান, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ও শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম; বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্ব পিকে রায় প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ফওজিয়া কামরুন তানিয়া বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়াম আয় করা নয়, বরং গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ব্যাংকিং খাতে যেমন আমানতকারীর বিশ্বাস রয়েছে, তেমনি বীমা খাতেও আমরা গ্রাহকের আস্থার জায়গায় পৌঁছাতে চাই। এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয়, বরং আমার বাবা ও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।”
কোম্পানির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল বলেন, “আমার আব্বু স্বপ্ন দেখতেন মাত্র ৭ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের। আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছি। বর্তমানে শতভাগ দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করেছি। তবে ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধের লক্ষ্য অর্জনে এখনও পুরোপুরি সফল হইনি। খুব শিগগিরই সেই লক্ষ্যও পূরণ করব।” তিনি বলেন, অসুস্থ প্রতিযোগীতায় যেনতেনভাবে প্রিমিয়াম আয় করা কোম্পানির লক্ষ্য নয়। বরং বীমার মেয়াদপূর্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করেই এগিয়ে চলছে সোনালী লাইফ। আগামীতে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে দেশের শীর্ষ লাইফ বীমা কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে পরিচালনা পর্ষদ। এ কারণে চলতি বছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক না থাকার পরও সোনালী লাইফ ২০২৫ সালে ৫৬৬ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। বছর শেষে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২৬০ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করার কথাও জানান তিনি।
ভারপ্রাপ্ত সিইও রফিকুল ইসলাম বলেন, “চলতি বছর আরও ৩২০ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা তা করতে সক্ষম হবো। সোনালী লাইফ শতভাগ দাবি পরিশোধের সক্ষমতা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “একটি নেতিবাচক ধারণার কারণে দেশে বীমা খাতের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। তবে সোনালী লাইফ ব্যতিক্রম। আমরা গ্রাহকের শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছি বলেই আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি পরিবারে সেবা পৌঁছে দেওয়া।” এ সময় তিনি সঞ্চয়কে গতিশীল করা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোম্পানির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “মানুষ যখন বার্ধক্যে অবহেলার শিকার হয়, তখন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। মানুষের স্বার্থে কাজ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
প্রসঙ্গত, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট, ড্রগন গ্রুপের কর্ণধার, রুপালী ইন্সুরেন্স কোম্পানি সাবেক চেয়ারম্যান ও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের হাত ধরেই ২০১৩ সালের ১ আগস্ট যাত্রা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শুরু করা। গত ১ আগস্ট ১২ বছরে পর করেছে। আজ কোম্পানিটি যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জোনায়েদ মানসুর, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫৬ পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০। রেজিস্টার্ড : ২৯২ ভূইয়া পাড়া প্রধান সড়ক, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯। সম্পাদকীয়: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, বার্তাকক্ষ : ০১৯১৩৫৫৫৩৭১। ই-মেইল: inextpr@gmail.com , (বিজ্ঞাপন), newsuddokta@gmail.com (বার্তাকক্ষ)