480
ঢাকাবুধবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এক যুগেও পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (পর্ব-১)

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পুঁজিবাজারে প্রবেশে বিলম্বের প্রাথমিক কারণ সমূহ
 পুঁজিবাজারে আসতে হলে ২ কোটি ১৯
লাখ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে
 নিবন্ধনের শর্ত লঙ্ঘন
 আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব
 গ্রাহকের আস্থার সংকট
 নেতৃত্বে পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট
 বিনিয়োগকারী অনিশ্চয়তা
 প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অবস্থান

https://www.uddoktabangladesh.com/2025/09/23/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ab/

দেশের বিমা খাতের ১৮টি জীবন বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ)। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তালিকাভুক্ত হতে পারেনি মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড (এমআইএলআইএল)। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে খুুঁড়িয়ে খুুঁড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ও আর্থিক অবস্থান নিয়ে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন ।
সূত্র বলছে, দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা শুরুর ৩ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স তা লঙ্ঘন করছে। ২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করলেও কোম্পানিটি এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। এতে কোম্পানিটি একদিকে যেমন নিবন্ধনের শর্ত লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছে।
আইডিআরএ বলছে, ব্যবসা শুরু করার তিন বছরের মধ্যে বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে না পারলে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত না হওয়ার কারণে একটি কোম্পানিকে বছরে ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়। তাই পুঁজিবাজারে আসতে হলে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ১২ বছরের হিসেবে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একযুগ পূর্ণ করতে চলা মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এখনও পুঁজিবাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। নেতৃত্ব ও কাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে আস্থা ফেরাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোম্পানিটি জানায়, করোনার প্রভাবের কারণে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শর্ত পূরণ করতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু এত বছর পরও প্রতিষ্ঠানটি তালিকাভুক্ত হতে না পারায় গ্রাহক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

আরও জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন সনদ ও একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ’র অনুমোদন নিয়ে জীবন বিমা কার্যক্রম শুরু করে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। বাংলাদেশ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এবং ২০১০ সালের বিমা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিমা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মোস্তাফা এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ আব্দুর রশিদ। তবে বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন তুলছেন-এই নেতৃত্ব পুঁজিবাজারে প্রবেশের জট খুলতে পারবেন কি না। https://www.uddoktabangladesh.com/2025/09/23/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ab/

পুঁজিবাজারে প্রবেশে বিলম্বের কারণ: ২০২০ সালের ২৮ জুলাই আইডিআরএ’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমআইএলআইএল জানায়, করোনার প্রভাবের কারণে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে, মহামারী পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব : এমআইএলআইএল -এর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও লাভ-ক্ষতির বিস্তারিত প্রকাশ্যে সীমিত। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দিহান। এছাড়া, দাবি নিষ্পত্তির হার ও প্রিমিয়াম কালেকশনের তথ্যও প্রকাশ্যে না থাকায় গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ্রাহক আস্থা সংকট: তালিকাভুক্ত হতে না পারায় গ্রাহকরা ধরে নিচ্ছেন এমআইএলআইএল ভালো ব্যবসা করতে পারছে না। এতে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নেতৃত্বের পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট : এমআইএলআইএল -এর চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মোস্তাফা ও সিইও শেখ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি কিছু অগ্রগতি অর্জন করলেও, পুঁজিবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। তাদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

বিনিয়োগকারী অনিশ্চয়তা: পুঁজিবাজারে আসতে না পারা মানে আর্থিক কাঠামো ও মূলধন ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, যা বিনিয়োগকারীর আগ্রহ কমিয়ে দেয়।

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অবস্থান: এমআইএলআইএল -এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে আর্থিক স্বচ্ছতা ও গ্রাহক আস্থা অর্জন করেছে। এতে এমআইএলআইএল -এর বাজারে অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক যুগ পূর্ণ করতে চলা মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এখনও পুঁজিবাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। নেতৃত্ব ও কাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে আস্থা ফেরাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পুঁজিবাজারে আমরা আসতে চাই। সব প্রক্রিয়া ফুলফিল করেই পুঁজিবাজারে আসবে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সূত্র: দৈনিক বাংলার গৌরব