480
ঢাকারবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফরচুন সুজের শেয়ার কেলেঙ্কারীতে শাস্তির মুখে হিরুসহ আইসিবির কর্মকর্তারা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা ধরা পড়েছে। আলোচিত কারসাজিকারী ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরুর সহযোগিতায় তাঁরা ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার বেচাকেনা করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও আইসিবি প্রায় ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে।

এখন সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বিএসইসির কমিশন সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) সুপারিশ পাঠানো হবে। একই সঙ্গে হিরু ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।

বিএসইসি সূত্র জানায়, ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ারগুলো হিরুর কাছ থেকে অতিমূল্যে কিনে আইসিবির বিপুল লোকসান হয়। এই ঘটনায় আইসিবির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেনকেও সরাসরি জড়িত ও সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। তবে আইসিবি সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিএসইসি নিজে শাস্তি দিতে না পেরে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম বলেন, ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে আইসিবির কিছু কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। এ জন্য আমরা অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন দুদক ও এফআইডিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অভিযুক্ত সাবেক এমডি আবুল হোসেন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, আইসিবির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে তিনটি স্তর থাকে ডিপার্টমেন্ট, ডিভিশন ও কমিটি। সব সুপারিশ শেষে এমডির কাছে অনুমোদনের জন্য যায়। বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদ পর্যন্ত গেছে। তবু বিএসইসি এটাকে নেতিবাচকভাবে নিয়েছে। এখানে কোনো পলিসি বা সিস্টেম ভায়োলেশন হয়নি।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই, সবার জন্য আইন সমভাবে প্রযোজ্য হোক। বাজারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হওয়া জরুরি। কেউ যেন বিশেষ সুবিধা না পায়।

বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী কারসাজিকারীদের সহযোগিতা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যোগসাজশের কারণে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। এবার আইসিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ বাজারে আস্থার সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।