480
ঢাকাসোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেয়ারবাজারের দুই কোম্পানির ৫জি সূচনা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ ১১:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন অধ্যায় শুরু হলো। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘ বিলম্ব ও নানা প্রস্তুতির অভাব কাটিয়ে অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত অতি-দ্রুতগতির এই প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করল দেশ।

৫জি প্রযুক্তি একসঙ্গে আরও বেশি ডিভাইস সংযুক্ত রাখতে সক্ষম। এর ফলে ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), স্মার্ট সিটি, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা অ্যাপ্লিকেশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সবার আগে রবি আজিয়াটা রাজধানী ঢাকাসহ তিনটি শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় ৫জি সেবা চালু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফকিরেরপুল-পল্টন, মগবাজার চৌরাস্তা, চট্টগ্রামের খুলশী ও সিলেটের সাগরদিঘীর পাড়ে এখন থেকে রবি গ্রাহকরা নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান শাহেদ আলম জানান, ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে ২০০টি টাওয়ারে ৫জি চালুর লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

এর দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন এক চমকপ্রদ ঘোষণায় সব বিভাগীয় শহরে ৫জি সেবা চালুর কথা জানায়। যদিও প্রাথমিকভাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ কিছু এলাকায় গ্রাহকরা সংযোগ পাননি, তবু কোম্পানি জানিয়েছে ধীরে ধীরে কভারেজ বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশের মোবাইল যাত্রা শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে গ্রামীণফোন ও রবির ২জি সেবার মাধ্যমে। এরপর ২০১৩ সালে আসে ৩জি, আর ২০১৮ সালে ৪জি প্রযুক্তি। ৫জি চালু হতে এত দেরি হওয়ার কারণ ছিল অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, উচ্চ খরচ ও প্রয়োজনীয় ইকোসিস্টেমের অভাব।

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকার ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ৫জি চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা সম্ভব হয় ২০২৫ সালে এসে। ২০২২ সালে ১৯০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের নিলামে ১.২৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় অপারেটরদের। তবে রোলআউটের সুস্পষ্ট সময়সীমা না থাকায় সেবাটি বিলম্বিত হয়।

বিশ্বজুড়ে ৫জি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ভারত ২০২২ সালে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালুর পর অল্প সময়ের মধ্যেই ২৫ কোটির বেশি গ্রাহককে অন্তর্ভুক্ত করে। এরিকসন মোবিলিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকেই বিশ্বে ২৪০ কোটির বেশি সক্রিয় ৫জি ব্যবহারকারী হয়েছে, যা বছরের শেষে প্রায় ২৯০ কোটিতে পৌঁছাবে।

বিটিআরসি কর্মকর্তা এমদাদ উল বারী বলেন, ৫জি কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার একটি হাতিয়ার। তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্মার্ট কৃষিতে এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

রবি আজিয়াটার ভারপ্রাপ্ত সিইও এম রিয়াজ রশিদ বলেন, সরকারের নীতি সহায়তার কারণে রেকর্ড সময়ে ৫জি চালু করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান জানান, ৫জি কেবল দ্রুত ইন্টারনেট নয়, বরং উদ্ভাবন ও স্মার্ট সমাধানের নতুন দুয়ার খুলে দেবে।