480
ঢাকাসোমবার , ২৫ আগস্ট ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল কিন্তু শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার থেকে ছুটে গেছে- সিজিএস সংলাপে বক্তারা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগস্ট ২৫, ২০২৫ ১০:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

“গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ” শীর্ষক ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য’ বিষয়ক সংলাপটি ২৫ আগস্ট ২০২৫, সোমবার, সকাল ৯:৩০ টায় সিরডাপ (সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন , শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসাইন, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সরদার এ. নাঈম, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ড. ডি. কে. শিল অর্পণ ও প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ এর সভাপতি জিল্লুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সংস্কার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তেমন একটি আলোচনা হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মৌলিক চাহিদাগুলোর দিকে তেমন একটা মনোযোগও দেয়া হয়নি। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরি করা হলেও শিক্ষা বিষয়ক সংস্কার কমিশন তৈরি হয়নি। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে কিভাবে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায় এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার এর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ সিভিল সোসাইটিরও কাজ করতে হবে।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের এই সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে শিক্ষাটা অগ্রাধিকার থেকে ছুটে গিয়েছে। কোথায় গেছে বলতে পারিনা, আপনারাও জানেন। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত, কিছু কিছু কাজ তারা করেছেন যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু পুনর্গঠন চাইছিনা, আমরা রূপান্তর চাইছি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে। রূপান্তর শুধু বই ছাপালেই বা শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে আসবে না। শিক্ষার্থীদের নীতিবান মানুষ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী বানিয়ে নয়, শিক্ষার্থীকে মানুষ করতে হবে।

ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ১৩ মাস যাবত শিক্ষা নিয়ে দেশে কেউ কথা বলে না। পরীক্ষা নিয়েও কিছু একটা বলে না। কোভিডের সময় দেখলাম অটো পাশ দেয়া হয়েছে। এসব আমাদের শিক্ষার মানকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ জানে। কয়েক বছর আগে দেখলাম নিরীক্ষকদের চিঠি দেয়া হয়েছে নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার জন্যে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি।
আমাদের আজকের যে অধঃপতন এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী নীতিনির্ধারকরা আর আমাদের যারা জড়িত ছিল। এদেশের বড় সমস্যা শিক্ষিত মানুষ। অশিক্ষিত গরিব মানুষ এদেশের সমস্যা না। ওরা কেউ এই চেয়ারে বসে না, আমরা যারা এই চেয়ারে বসি তারা দায়ী।
বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার আমাদের যে স্তরগুলো আছে, এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এদেশে সরকারি খাতের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি খাত বিগত ৩০-৪০ বছরে বেশ উন্নতি করেছে। সেটাকে কিভাবে আরো মানসম্মত করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হযবরল অবস্থা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিশন করুন এবং কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন করুন। সবার একটি দাবি হল শিক্ষা কমিশন চাই, যেটি এই সরকারে নাই।

ডঃ মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার একটি স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনের কথা প্রস্তাব করেছে। স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনটি হলে, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রধান হাসপাতালগুলোতে রোগীদের পা ফেলার জায়গা নেই। কিন্তু সেকেন্ডারি কেয়ার হাসপাতাল, যেগুলো উপজেলা হাসপাতাল খালি পড়ে থাকে। সকল স্তরের হাসপাতালগুলোকে সমানভাবে ইউটিলাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য উপজেলা লেভেলের হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্য সেবার মানের দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে। এভাবে স্বাস্থ্য সেবার বিকেন্দ্রীকরণ খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, গ্রামে মেডিকেলে কলেজ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু অবকাঠামো নাই। কোটি টাকার মেডিকেল সরঞ্জাম অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে অথচ অনেক জায়গায় অপারেশন এর সরঞ্জামের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। আমাদেরকে এইসব জায়গার দিকে নজর দিতে হবে।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকটি সিন্ডিকেট ইলেকশনে একজন শিক্ষককেও খুঁজে পাওয়া যায়নি যিনি অন্য রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে প্রতিনিধিত্ব করবেন । তাহলে কি সব মেধাবী এক জায়গায় ছিল? অথবা আমরা এমন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি যারা এতটাই ভীতু নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করার সাহস রাখেনা। এমন একটা সমাজে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার ই বা কি আছে?

ডা. তাসনিম জারা বলেন, দেশে মেডিকেল ইমার্জেন্সি হলে কোথায় গেলে সেবা পাবেন সেটা পরিষ্কার না। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমানে সেন্টার নাই। আমরা বলছি যে সারাদেশে যেন ইমার্জেন্সি সেবা নিশ্চিত করা যায়। বাসা থেকেই যেন এম্বুলেন্স নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমাদের এই সিস্টেমটাই নাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি হেলথ রেকর্ড এর কথা বলছি যেখানে জন্ম থেকে সব রেকর্ড নথিভুক্ত করা থাকেবে। যেন এক হাসপাতালের পর অন্য কোথাও গেলে পুরোনো রেকর্ড হারিয়ে না যায় বা পুনরায় টেস্ট করা না লাগে। এতে করে খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়াও বায়োব্যাংক ও কস্ট কাটিং কে প্রায়োরিটি দেয়া জুরুরী। আমাদের দেশে জনগনের কোন চিকিৎসাটা কাজ করবে, কোন ব্যবস্থা টা কাজ করবে এটি বোঝার জন্য গবেষণা প্রয়োজন যা বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিভাবে ডিজিটাল করা যায় ও এদেশের জনগনদের জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা যায় এই ব্যাপারে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি মানসম্মত জায়গায় নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বরকন্দাজ প্রশাসন চর্চা আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শাসকের যে বরকন্দাজি এবং শিক্ষকরা এখানে ব্যবহৃত হন, এই জায়গা যদি পরিবর্তন না হয় এবং জাতীয় কনসেনশাস তৈরি না হয় তবে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন হবে না।

ড. মামুন আহমেদ বলেন, গত ১৪-১৫ বছরে বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা যাদের হাতে ভেঙ্গে পড়েছে তারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত মানুষ। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশের সকল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। তার মানে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথাও একটা গলদ আছে। এজন্য আমরা একজন মানুষকে সত্যিকারের দ্বায়িত্বশীল করতে পারছি না, দক্ষতা অবশ্যই তৈরি করছি কিন্তু নীতিনিষ্ঠ করতে পারছি না।

মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ৮ জনের পিএইচডি আছে, ৬ জন প্রফেসর। আমি জানি না তারা কেন শিক্ষা কমিশন তৈরি করেনি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দুটিকে বলা হল হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ জায়গা। দক্ষিণ এশিয়ার দিকে তাকালে বোঝা যায় আমাদের দেশে এই দুইটি খাত সবচেয়ে অবহেলিত। এখানে গুরুত্ব না দিলে আমরা সামনে এগুতে পারব না।

ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনস্বাস্থ্য মানেই আমরা খুঁজি বিশেষায়িত হাসপাতাল। জনস্বাস্থ্যকে বিশেষায়িত হাসপাতালের মাঝখানে প্যাকেটে ঢুকালে তো মানুষের জীবন বাঁচাবে না। আজকে ৮৫% ইমুনাইজেশন কাভারেজ, মাতৃ মৃত্যু, শিশু মৃত্যু দক্ষিণ এশিয়ায় সবচাইতে কম। কোন ম্যাজিক বা কোন সলিউশনে এইসব হচ্ছে এটি দেখতে হবে।

অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমাদের কোনো সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার সরঞ্জাম কাজ করে না। আমরা প্রতি বছর ১০ হাজার ডাক্তার তৈরি করছি কিন্তু সেটা আমাদের কোনো কাজে আসছে না। ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার থাকে না, সরঞ্জাম থাকে না, কিছু করতেই ঢাকায় আসতে হয়। আমাদের নিজেদের চিকিৎসা শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের হতে পারছে না। আজকে ভারত ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে, তাই চীনের ভিসার জন্য আমরা হাত পেতে আছি, এরপর চীন ভিসা বন্ধ করলে কি আমরা থাইল্যান্ডের কাছে হাত পাতবো? আমাদের চিকিৎসক ইঞ্জিনিয়ার অনেকেই পরিবারের চাপে এই সকল পেশায় আসেন, এখানে মস্তিস্কে তারা ডাক্তার হন ঠিকই, মন থেকে হন না।

ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের প্রস্তাবনা হওয়ার কথা ৫%। আমাদের এখানে বাজেট করা হয় ৪.১% করা হয়। আবার বরাদ্ধ দেয়া হয় তার ও অর্ধেক। এই বরাদ্ধকৃত অংশের একটি বড় অংশ ফেরত যায় বাস্তবায়নের অভাবে। যদি আসলেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন করতে হয় তবে আমাদের এইদিকে নজর দিতে হবে।

ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেন, বাংলাদেশে আমরা যতটা জিপিএ উৎপাদনের দিকে মনযোগ দিয়েছি, ততটা মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত মানুষ, মানবিক মানুষ তৈরির দিকে মনযোগ দিই নি। এর ফল আমরা হারে হারে টের পাচ্ছি। আমরা জিপিএ তৈরি করেছি, ভাল রেজাল্টওয়ালা তৈরি করেছি কিন্তু ভাল মানুষ তৈরি করতে এই শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয় ও প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।

গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, আমরা শুধু উচ্চশিক্ষিত মানুষ তৈরি করছি কিন্তু কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার।

অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসাইন বলেন, কুদরত ই খুদার যে শিক্ষাব্যবস্থা ছিল সেটি কোথায়? সেটিকে ফেরত আনা হবে কিনা নিশ্চিত না কারণ তাকে আমরা পছন্দ করি না। বর্তমানে আমাদের দেশে তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। বাংলা মিডিয়াম, ইংরেজি মিডিয়াম ও মাদ্রাসার মিডিয়াম, যে শিক্ষাই হোক, সে শিক্ষা যেন মানসম্মত হয়।

ড. সরদার এ. নাঈম বলেন, গত বছর ইন্ডিয়ান ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা চিকিৎসার জন্য চায়না যাওয়া শুরু করেছি। ইন্ডিয়ার বদলে আমরা চায়না কেন যাবো? নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন কনফারেন্স এর মাধ্যমে ঘটা করে চায়নিজ হাসপাতালের নাম ও প্রমোশন করলেন। আমাদের দেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে কেন রোগীদের ইন্ডিয়া, চায়নায় পাঠানোর কথা বলছি? তার মানে কি আমাদের দেশে কোন চিকিৎসার দরকার নাই?

ড. ডি. কে. শিল অর্পণ বলেন, বাংলাদেশে ইনফেকশন কন্ট্রোল একটি বড় সমস্যা। একটি হাসপাতালের ধারন ক্ষমতা ৫০জন হলে রোগী ২০০জন। এসব রোগী বেড না পেয়ে, ফ্লোরে, টয়লেটের সামনে, বারান্দায় অবস্থান করেন। এছাড়াও রোগীর সাথে এটেন্ডেন্স থাকেন ৪-৫ জন আত্মীয়স্বজন। যার জন্যে ইনফেকশন কন্ট্রোল হয়না ও প্রচুর এন্টিবায়োটিক লাগে। এগুলো কিনতে প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লাগছে।