480
ঢাকাসোমবার , ১১ আগস্ট ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচনের আগে সংস্কার চান দেশের বেশির ভাগ মানুষ

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগস্ট ১১, ২০২৫ ৫:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বেশির ভাগ নাগরিক ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা, অর্থনীতি, দুর্নীতি দমন ও শিক্ষা খাতে কার্যকর সংস্কার দেখতে চান। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী নির্বাচন আয়োজনের আগে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের পক্ষে। জরিপে জনগণ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব হ্রাস ও নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কারের ওপর।

সোমবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বিআইজিডি পালস সার্ভে’র গবেষণা পেপার উন্মোচন ও প্যানেল আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন আলোচকরা। আলোচনার শুরুতে জুলাই আন্দোলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ভয়েজ ফর রিফর্মের কো-কনভেনর একেএম ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সিনিয়র গবেষক ড. মির্জা এম হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান। জরিপ পেপার উপস্থাপন করেন বিআইজিডি ফেলো অব প্র্যাকটিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ।

জুলাই মাসে দেশের ৫ হাজার ৪৮৯ জনের ওপর চালানো জরিপে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ মানুষ ‘ভালোভাবে সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন’ চান। ১৭ শতাংশ ‘কিছু জরুরি সংস্কার’-এর পর নির্বাচন করতে রাজি। আর ১৪ শতাংশ ‘সংস্কার ছাড়াই দ্রুত নির্বাচন’-এর পক্ষে। ১৩ শতাংশের কোনো ধারণা নেই এবং ৮ শতাংশ মন্তব্য করতে অনিচ্ছুক।

জরিপ থেকে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার, মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব হ্রাস, দুর্নীতি দমন ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন—জনগণের প্রধান চাওয়া।

প্যানেল আলোচনায় ড. মির্জা এম হাসান বলেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি মানুষ সবচেয়ে বেশি ভাবেন, তবে বর্তমান গবেষণায় দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে তারা অন্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে না। দাম যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তখন আইনশৃঙ্খলা বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় তারা উৎসাহী হয়।

মির্জা এম হাসান বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিশেষ করে মব নিয়ন্ত্রণে উদ্বেগ বেড়েছে। নির্বাচনপরবর্তী সরকারের সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ওপর মানুষের বিশ্বাস আছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ভয় সংস্কৃতি এখন কমেছে, তবে নারীর অধিকার রক্ষায় সমর্থন বেড়েছে।

ড. আসিফ শাহান বলেন, অর্থনীতি ভালো থাকলেও নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে মানুষের মধ্যে দেশের প্রতি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নারীরা ভোটে পিছিয়ে থাকায় তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো তেমন মনোযোগ দেয়নি।

সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, মানুষ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সংস্কার চায়। পুলিশ ও শিক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে। জনগণের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা কমেছে। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার কারণে অনেকে দ্রুত নির্বাচন নয়, বরং নির্বাচন-পরবর্তী সংস্কার চান।

ভোটপ্রত্যাশা নিয়ে ড. আসিফ শাহান জানান, বিএনপির প্রতি আগে যারা সমর্থন দেখিয়েছিলেন, অনেকেই এখনো ভোট সিদ্ধান্ত নেননি। আগামী পদযাত্রা এনসিপি পক্ষে কিছু সমর্থন বাড়াতে পারে।

জরিপ অনুযায়ী দেখা যায়, দেশের জনগণ শুধু নির্বাচনের আয়োজন নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা, অর্থনীতি, দুর্নীতি দমন ও শিক্ষায় বাস্তব পরিবর্তন প্রত্যাশা করে। নির্বাচনের আগে এসব খাতে কার্যকর সংস্কার তাদের আস্থার শর্ত বলে মত জরিপে উঠে এসেছে।