480
ঢাকাশনিবার , ৯ আগস্ট ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফ্লাইট এক্সপার্ট :গ্রামবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়েছেন এমডি

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:
আগস্ট ৯, ২০২৫ ২:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক: উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মুরাদপুর। ব্যবসার নামে তিনি ও তার পরিবার কচুয়া, ফরিদগঞ্জসহ নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা এখন টাকা ফেরত না পেয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইমের গ্রামে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাইমদের বাড়িতে গেলে কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি। সাইমের বাবা এম এ রশিদ শাহ ও তাঁর চাচা ইয়াছিন ব্যাপারীর বসতভিটা থাকলেও কোনো ঘর নেই। প্রতিবেশী এক নারী জানিয়েছেন, রশিদ শাহ ও তাঁর ভাই ইয়াছিন ১৫ বছর আগে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন। রশিদ শাহ তিন বছর আগে এসে তাদের দুটি বসতঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে ওই বসতঘরের ভিটা খালি পড়ে আছে।

কাদলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. জহির মুন্সি বলেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সাইম এবং তার বাবা রশিদ শাহ অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর এলাকার মানুষও ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। সাইমদের ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে কচুয়া ও ফরিদগঞ্জের বেশ কয়েকজন টিকিট ক্রয় ও বুকিং দিয়েছেন, যারা টাকা ফেরত না পেয়ে বন্ধ অফিসে গিয়েও ফিরে এসেছেন। জানা গেছে, রশিদ শাহ ও ইয়াছিনের ট্রাভেল এজেন্সির অফিস এখনও খোলা রয়েছে।

অন্যদিকে সাইমদের পাশের গ্রাম বরৈগাঁওয়ের বাসিন্দা ও চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে ফ্লাইট এক্সপার্টের সেবা ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি কয়েকজন মিলে অগ্রিম ৫৪ লাখ টাকার টিকিট ক্রয় ও বুকিং দিয়েছেন। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর থেকে সাইমদের কোনও সন্ধান মেলেনি।

২ আগস্ট হঠাৎ ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো গ্রাহক ও টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি ভোগান্তিতে পড়েন। একই রাতে ভুক্তভোগী বিপুল সরকার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এমডি সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম, তার বাবা এম এ রশিদ শাহ, হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাইদ আহমেদ ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন। এই ঘটনায় মতিঝিল থানা পুলিশ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে।