উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক: বন্ড সুবিধায় আমদানি করা হয়েছে ৬৬০ মেট্রিক টন কাঁচামাল। সেই কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরি না করে অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনা এক্সেসরিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে। গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযানে কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রি ও শুল্ককর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে বন্ড কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (উত্তর) এর কর্মকর্তাদের অভিযানে অবৈধভাবে কাঁচামাল অপসারণ ও শুল্ককর ফাঁকির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। ঢাকা উত্তর বন্ড কমিশনারেটের একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বখন্ড কেওয়া বাজারে অবস্থিত মেসার্স নেত্রকোনা এক্সেসরিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধা বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে তথ্য পায় বন্ড কর্মকর্তারা। এরই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বন্ড ঢাকা উত্তর কমিশনারেটের একটি প্রিভেন্টিভ টিম প্রতিষ্ঠানটির বন্ডেড ওয়্যারহাউজে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে দেখা গেছে, গার্মেন্টস ও তৈরি পোশাক (নীট) কারখানাটির সর্বশেষ ইউটিলাইজেশন পারমিট (ইউপি) ইস্যু হয়েছিল চলতি বছরের ২০ জুলাই। যার আওতায় আমদানি করা কাঁচামাল শুধুমাত্র রপ্তানিমুখী পণ্যে ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি এসব কাঁচামালের বড় একটি অংশ উৎপাদনে ব্যবহার না করে অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, ৬৬০ মেট্রিক টন বন্ড সুবিধার কাঁচামাল অপসারণ করা হয়েছে। যাতে শুল্ককরের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, শুল্ককর ফাঁকি দিতে এসব কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে কাঁচামালের হিসাব ও উৎপাদনের তথ্যের মধ্যে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া গেছে। আরও যাচাই করা হচ্ছে এবং শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি এর আগে আর কোনো বন্ড সুবিধার কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রি করেছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্ড কর্মকর্তারা।