চার ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা ছাড়া বাকি সকল স্বাভাবিক করদাতার অনলাইন রিটার্ন (ই-রিটার্ন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৪ আগস্ট (সোমবার) থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সব করদাতাকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে চাইলে এই চার শ্রেণির করদাতাও অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান সই করা এই সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে সোমবার অর্থ উপদেষ্টা এনবিআর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে রিটার্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এর আগে ই-রিটার্ন সফটওয়্যার আপডেট করার জন্য জুন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩২৮ এর উপ-ধারা (৪) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এই আদেশ দ্বারা, ৪ আগস্ট হতে ২০২৫-২০২৬ করবর্ষের জন্য সকল স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করলো।
যে চার ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়নি, তারা হলেন-৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা; শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা (সনদপত্র দাখিল সাপেক্ষে); বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা; মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে এই চার শ্রেণির করদাতারা ইচ্ছাপোষণ করলে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এই চার শ্রেণির করদাতা ব্যতীত অন্য যেকোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমর্থ না হলে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করলে, সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্মকর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে ওই করদাতা পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এনবিআর সূত্রমতে, ২০২৪ সালে নির্দিষ্ট এলাকার অধিক্ষেত্রাধীন ব্যক্তি করদাতা, সারাদেশের সকল ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছয়টি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া দিয়ে ১৭ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য এনবিআরের স্থাপিত কল সেন্টার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে