উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের হুমকি ছুড়ছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্কনীতি বোয়িংয়ের জন্য যেমন নতুন কার্যাদেশের পথ খুলে দিচ্ছে, তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে।
মঙ্গবার (২৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যেসব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যচুক্তি করছে, তাতে বোয়িংয়ের মতো মার্কিন কোম্পানির পণ্য কেনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বছরের শুরু থেকেই কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া বোয়িংয়ের বিমান কেনার ঘোষণা দিয়েছে। ট্রাম্প এটিকে নিজ সরকারের “শুল্ক দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল” হিসেবে তুলে ধরছেন।
তবে এই শুল্কনীতি এখন উল্টো ফলও দিতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি পাল্টা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তাহলে বোয়িংয়ের অন্যতম বাজারগুলো ঝুঁকির মুখে পড়বে। বাজেট এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা বোয়িংয়ের সরবরাহে দেরি করতে পারে যদি শুল্ক বেড়ে যায়।
বোয়িংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল ৭৩৭ ম্যাক্স ও ৭৭৭-৯ এখনো এফএএ-এর অনুমোদন পায়নি, ফলে নতুন চুক্তি পেলেও বিমান সরবরাহে দেরি হচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদন ঘাটতি, সরবরাহব্যবস্থায় ব্যাঘাত, ধর্মঘট এবং অতীতের নিরাপত্তাজনিত দুর্ঘটনার প্রভাব এখনো কাটেনি।
বিশ্লেষক কোর্টনি মিলার বলেন, “ট্রাম্পের শুল্কনীতি যতই আক্রমণাত্মক হোক না কেন, দীর্ঘমেয়াদে সেটা মার্কিন কোম্পানির ওপরই বুমেরাং হতে পারে।” কারণ বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল বোয়িং ও এয়ারবাস-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং একটিকে চাপ দিলে অন্যটি সুবিধা নেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন প্রশ্ন একটাই—ট্রাম্পের শুল্ক-কেন্দ্রিক আগ্রাসী কৌশল বোয়িংকে সাময়িক চুক্তি এনে দিচ্ছে, না কি দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন বিমান শিল্পের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে?