প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন, পতিত ও পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি দেশে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে নির্বাচনের আয়োজনকে ভণ্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৪টি দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে, তখনই নানা রকম গণ্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।”
তিনি আরও বলেন, “যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি, তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ, ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।”
প্রধান উপদেষ্টা সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।”
বৈঠকে উপস্থিত নেতারাও নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা: জাতীয় গণফ্রন্ট – আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২–দলীয় জোট – জাতীয় পার্জি (জাফর)- মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টি – মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ – মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদ – মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট – ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোট – মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি – রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টি – মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) – মাসুদ রানা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম – মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।
