480
ঢাকারবিবার , ২০ জুলাই ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্থানীয় টেক্সটাইল পণ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক: রিজওয়ানা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই ২০, ২০২৫ ৯:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রবিবার ঢাকায় ‘অ্যামচ্যাম ডায়ালগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

টেক্সটাইল খাতে কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বলেছেন, “রপ্তানিমুখী পণ্যে এগুলো ব্যবহার না হলেও না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে।”

রবিবার ঢাকার বনানীতে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

‘অ্যামচ্যাম ডায়ালগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-অ্যামচ্যাম।

উপদেষ্টা জরুরি ভিত্তিতে একটি বাধ্যতামূলক রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা বিধিমালা করার আগ্রহের কথাও বলেন।

মাটির নিচ থেকে তোলা পানি বিনা মূল্যে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে চাইছেন রিজওয়ানা। তিনি বলেন, “শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ে যে নীতিমালার খসড়া হয়েছে তা চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। ভূগর্ভস্থ পানিকে কেউ যেন আর বিনা মূল্যে না নেয়, তার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

“একবার যখন শিল্পকারখানাগুলো এর মূল্য পরিশোধ করবে, তখন তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।”

সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে বলেও জানান রিজওয়ানা। জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রত্যেক সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বাস্তবায়নের শুরু।”

টেকসই বিনিয়োগের ওপরও জোর দেন রিজওয়ানা। বলেন, “আমাদের টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ—উভয়ের প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করতে থাকে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামোই টিকবে না।”

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। বলেন, “সরকার সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে অগ্রাধিকার পাবে।”

সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন রিজওয়ানা। জানান, সেখানে আইন লঙ্ঘনের হার মাত্র ৫ শতাংশ।

অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, সাবেক সভাপতি ফরেস্ট ই. কুকসন, সহ-সভাপতি ও শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকারও এসময় বক্তব্য রাখেন।

রিকাভার, শেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিস এর প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।