নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকে আরোপিত বাড়তি শুল্ক কমাতে লবিস্ট নিয়োগের চেষ্টা শুরু করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে এ চেষ্টায় এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকরা অংশ নেন।
মাহমুদ হাসান খান জানান, গতকাল (শনিবার) থেকে বিজিএমইএ লবিস্ট নিয়োগে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তবে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ, ‘অধিকাংশ লবিস্ট ইতিমধ্যেই অন্য দেশের পক্ষে কাজ করছে।’ এমনকি সংগঠনের অনেক পরিচালকও এখন এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত করছেন, ব্যর্থতার আশঙ্কায়।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, “আমরা যদি এক মাস আগেই জানতাম যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (USTR) নয়, বরং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের, তাহলে লবিস্ট নিয়োগের প্রস্তুতি আগেই শুরু করতে পারতাম।”
তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, বিজিএমইএর ১,৩২২টি সদস্য কারখানার মধ্যে ১০০টি কারখানা তাদের রপ্তানির ৯১-১০০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে করে। তিনি বলেন, “আমরা মাত্র ১.২ থেকে ১.৫ শতাংশ মার্জিনে ব্যবসা করি। এখন ২০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক এলে সেটা কঠিন হয়ে যাবে।”
মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, “আমরা দেরিতে হলেও লবিস্ট খুঁজছি। পিআরআইয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে দুজন লবিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, এর মধ্যে একজন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।”
সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার কখনোই বেসরকারি খাতকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমলাতান্ত্রিক টানাপড়েন থামাতে না পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: জোনায়েদ মানসুর, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫৬ পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০। রেজিস্টার্ড : ২৯২ ভূইয়া পাড়া প্রধান সড়ক, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯। সম্পাদকীয়: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, বার্তাকক্ষ : ০১৯১৩৫৫৫৩৭১। ই-মেইল: inextpr@gmail.com , (বিজ্ঞাপন), newsuddokta@gmail.com (বার্তাকক্ষ)