480
ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ জুলাই ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানি লন্ডারিং মামলায়: জিপিএ-৫ এর প্রধান ক্রেতা ক্যামব্রিয়ানের বাশার গ্রেফতার

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:
জুলাই ১৫, ২০২৫ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক:  ‘মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে খায়রুল বাশারকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়াধীন।’
বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ কেনার হোতা তিনি। বিদেশে শিক্ষার্থী পাঠানোর নামে আদম ব্যবসাও চালিয়ে এসেছেন এন্তার। তার খপ্পরে পড়ে অর্থ ও স্বপ্ন খোয়ানো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও কোনো কাজ হয়নি। টিকিটিও ছোঁয়া যায়নি তার। টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন সব। অবশেষে মানি লন্ডারিং মামলায় ক্যামব্রিয়ান কলেজ ও বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশারকে জালে আটকেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদিন খান সোমবার বলেছেন, ‘মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে খায়রুল বাশারকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’ গত বছরের ১৭ অক্টোবর বাশার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তার শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রুমন আলী লস্কর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা গ্রহণ করে। কলেজে সেশন ফি বাবদ যে টাকা দেওয়া হয়, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ওই কলেজের সেশন ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটি তারা না করে আইন-বহির্ভূতভাবে মানি লন্ডারিং করে। সেই টাকা আমাদের থেকে নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছে। মূলত সেই কলেজের টাকা স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু সেটি তারা না করে বিদেশি কলেজগুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে, টাকা না পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মতো ভুক্তভোগীর সংখ্যা সহস্রাধিক ও প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমাণ গড়ে ২০ লাখ। তারা ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

ভুক্তভোগী অপর এক শিক্ষার্থী জানান, গত বছরেরে আগস্টের ২৭ তারিখে বিএসবি চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি সই করে যে, পাওনা টাকা ৩ কিস্তিতে যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বরে সবাইকে পরিশোধ করবেন। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয় ও তার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়, যা গুলশান থানা পুলিশ অবগত আছে। এছাড়াও বাশারের বিরুদ্ধে ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ ৫ কেনার অভিযোগ পুরনো।