480
ঢাকাশনিবার , ৫ জুলাই ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ৩২ লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানি : আইডিআরএ চেয়ারম্যান

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
জুলাই ৫, ২০২৫ ২:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক: দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা খাতের ৩২টি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। বুধবার (২ জুলাই) সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য ও সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, সময় মতো বীমা দাবি পরিশোধ না করায় এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়েছে। আর এ কারণে পিছিয়ে পড়ছে খাতটি। স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ছাড়া আস্থা বাড়বে না। তিনি বলেন, লাইফ বীমা খাতের ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১৫টি। আর ১৫টি রয়েছে মধ্যম ঝুঁকিতে। ভালো অবস্থানে রয়েছে ৬টি লাইফ বীমা কোম্পানি।

এর মধ্যে যে কয়টি কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলো আনভায়াবল (টিকে থাকতে অক্ষম) পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তবে যেসব কোম্পানি মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের সমস্যাগুলো নিরসনযোগ্য, এগুলো ঠিক করা যাবে বলে জানান ড. এম আসলাম আলম।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, নন-লাইফ বীমা খাতেও ১৭টি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বীমা দাবি পরিশোধ না করাসহ বীমা কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ড যাচাই-পর্যালোচনা করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ড. এম আসলাম আলম বলেন, বর্তমানে লাইফ বীমার ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এবং নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে প্রায় ৪৭ শতাংশ বীমা দাবি অপরিশোধিত রয়েছে। এসব বীমা দাবি সময় মতো পরিশোধ করা এবং মানুষের আস্থা বাড়াতে বিভিন্ন আইন ও বিধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংক রেজল্যুশনের আদলে বীমাকারির রেজল্যুশন অধ্যাদেশ প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আলোকে কেবল বীমা প্রতিষ্ঠান একীভূত হবে তেমন না; অবসায়ন, অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে।

আসলাম আলম বলেন, জিডিপি অনুপাতে ২০১০ সালে বীমার হার ছিলো শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে শুন্য দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছে। ২০২৪ সালে তা আরও কমেছে। তিনি জানান, আস্থা বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনগত ও ডিজিটালি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আইডিআরএ শুধু ২০২৪ সালে ২৪ হাজার ৮৫২টি অভিযোগ পেয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে এসব তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইডিআরএতে ১৬০ জন অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে মাত্র ১০৭ জন কর্মরত রয়েছে। জনবল বাড়ানোর জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

সম্প্রতি বীমা কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন নবায়ন ফি হাজারে ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে আইডিআরএ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লোকবল বাড়লে তখন আইডিআরএ’র খরচ বাড়বে। সবকিছু বিবেচনা করেই নিবন্ধন নবায়ন ফি বাড়ানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ছাড়াও সংস্থাটির সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক, সদস্য (আইন) তানজিনা ইসমাইল, সদস্য (নন-লাইফ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এবং সদস্য (লাইফ) মো. আপেল মাহমুদসহ নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।