480
ঢাকারবিবার , ২৯ জুন ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তারল্য সঙ্কট এবং মন্দঋণের ভারে অবসায়নের পথে এক্সিম ব্যাংক

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
জুন ২৯, ২০২৫ ৮:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশের ব্যাংক খাত।৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া ৫টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে একটি শক্তিশালী ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শেষে সম্প্রতি ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স পাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবশেষে গভর্নর ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণের ঘোষণা দিলে সবাই মেনে নিলেও রহস্যজনকভাবে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন দ্বিমত পোষণ করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। অদৃশ্য শক্তিবলে দেশের বিরুদ্ধে এবং দেশের অর্থনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংককে তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নজরুল ইসলাম স্বপন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকটির প্রকৃত তথ্য গোপন করে মাত্র ৩ শতাংশ এডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) দেখানো হয়। ৫ আগস্টের পর বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। ব্যাংকটির আমানত ৩৮ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৫৩ হাজার ৩১৭ কোটি বিনিয়োগ রয়েছে। সে হিসেবে ব্যাংকটির এডিআর রেশিও ১৩৭ শতাংশের বেশি। আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এক্সিম ব্যাংকের এই অনয়িম চলতে থাকে বছরের পর বছর।
ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংক পাড়ায়স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ১৭ বছর শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল থাকেন এবং লম্বা সময় ধরে ব্যাংকগুলোতে তিনি অঘোষিত কর্তৃত্ব চালান। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা তুলে শেখ হাসিনার তহবিলে জমা করাই ছিলো তার প্রধান কাজ। সবশেষ শেখ হাসিনা ফুটবল টুর্নামেন্ট- এর নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা তুলে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন তিনি। এছাড়া তিনি অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার সিদ্ধান্তে দ্বিমত করলে বা মেনে না নিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হতো। ৫ আগস্টের পর ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার করা হয় নজরুল ইসলাম মজুমদারকে যা এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পার হলেও তেমন সুবিধা করতে না পারায় ২০০৪ সালে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংকটি। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে কয়টি ব্যাংক লুটপাটের শিকার হয় তার মধ্যে এক্সিম ব্যাংক অন্যতম। ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হওয়া ব্যাংকটিতে এখনো তীব্র তারল্য সংকট বিরাজ করছে।
৫ আগস্টের পর এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়বাংলাদেশ ব্যাংক। তীব্র তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকটি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।এসময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেপ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা নেয় ব্যাংকটি। সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক যে ক্রাইটেরিয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা প্রদান করে তার সীমা অনেক আগেই শেষ হয়ে যায় এক্সিম ব্যাংকের। কোনো নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে শুধু ডিপি নোটের বিপরীতে এই ঋণ নেয় ব্যাংকটি। পরবর্তীতে৩ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো টাকা ফেরত দিতে পারেনি। সূত্র মতে গ্রাহকদের চাহিদা মিটাতে আরো তারল্য সহায়তা প্রয়োজন ব্যাংকটির।
গণঅভ্যুত্থানের পর ১৩টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন করে গঠন করা হয়। একমাত্র এক্সিম ব্যাংকেই পুরনো পর্ষদ থেকে নজরুল ইসলাম স্বপনকে চেয়ারম্যান করা হয়। জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের অন্যতম সহযোগী ছিলেন এই নজরুল ইসলাম স্বপন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী ঘনিষ্ট ব্যাবসায়ীদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন নজরুল ইসলাম স্বপন। তাদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে আসছেন তিনি। নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে যোগদান করে এম আখতার হোসেন। যোগদান করার পর থেকেই চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগীতা না করায় তার বিরাগ ভাজনে পরিণত হন তিনি। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে মতের পার্থক্য চরম আকার ধারন করে। এক্সিম ব্যাংকের একাধিক উপরস্থ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আখতার হোসেন একীভূতকরণের পক্ষে অবস্থান নেন। তার এই অবস্থানের সূত্র ধরেই বিরোধ চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় এবং এম আখতার হোসেন ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তাসহ এক্সিম ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাড়িয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকায়। ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগ ৫২ হাজার কোটি টাকার ২৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৪৮.২০ শতাংশই এনপিএল। আইন অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলোর আইডি রেশিও (ইনভেস্টমেন্ট ডিপোজিট রেশিও) ৯২ শতাংশ হলেও এক্সিম ব্যাংকের আইডি রেশিও ১৩৭ শতাংশের ওপরে।
সাধারণভাবে ইসলামী ব্যাংকসমূহ প্রচলিত সুদভিত্তিক রীতিতে টাকা ধার নিতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদ্যমান নিয়মে ‘লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট’ হিসেবে সুদভিত্তিক বিশেষ ধার দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঋণের বিপরীতে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটিতে (এসএলএফ) সাড়ে ১০ শতাংশ সুদহার প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ১৬ (৪) (ডি) ধারা ও ১৭ (১) (বি) ধারা অনুযায়ী, ৯০ দিন মেয়াদে এ অর্থ দেওয়া হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ওভারনাইট ঋণসুবিধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৯৯ সালে চালু হলেওব্যাংকটি এখন পর্যন্তদেশব্যাপী এর কার্যক্রম চালু করতে পারেনি। সারাদেশে মাত্র ১৫৫টি শাখা নিয়ে কার্যক্রম চালানো ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ১৫ লাখের কাছাকাছি। ব্যাংকটির অধিকাংশ শাখা শহর কেন্দ্রীক হওয়াতে প্রান্তিক মানুষ সেবা পায়না যা, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা সম্প্রসারন নীতি ও শরীয়াহ নীতি-পরিপন্থী। এক্সিম ব্যাংক কর্পোরেট গ্রাহক নির্ভর হওয়ায় সাধারণ লোকজন এ ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং সুবিধা খুব কমই পায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। নারী উদ্দোক্তা, এসএমই ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ নেই বললেই চলে।
ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫ মতে, কোনো তফসিলি ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেলে বা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংককে রেজল্যুশন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ব্যাংক নীতিমালায় কোনো ব্যাংকে ৩ শতাংশের বেশি খেলাপী ঋণ গ্রহণযোগ্য নয় এবং খেলাপী ঋণ ৩০ শতাংশের উপরে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ঐ ব্যাংককে অবসায়ন করতে হবে।
নজরুল ইসলাম স্বপনের অধীনে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক পরিচালনায় আসার পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে ৫৬৬ কোটি টাকা। নতুন পরিচালনা পর্ষদের একবছরে ব্যাংকটিতে কোনো নতুন হিসাব এবং আমানত জমা হয়নি। গ্রাহকের চাহিদা মিটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য ব্যাকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ব্যাংকটি।

এমন তারল্যসংকটেও নিয়মবহির্ভূতভাবে বড় ঋণ বিতরণ থেকে বিরত থাকছে না ব্যাংকটি। সম্প্রতি পুরোনো গ্রাহক নিপা এন্টারপ্রাইজকে ৪৮০ কোটি টাকা ঋণ ছাড়ের যাবতীয় আয়োজন চূড়ান্ত করে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নজরে এলে একক গ্রাহককে এত বড় ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সরকারের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকা নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা হলেওে পর্ষদের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ফ্যাসিস্টের মদদপুষ্ট কয়েকজন বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। নিপা এন্টারপ্রাইজকে ৪৮০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো তাদেরই।
বেহাল দশা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সিম ব্যাংকসহ ৫টি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এক্সিম ব্যাংক একীভূত না হওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টাকরছে। নতুন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন সাবেক ফ্যাসিস্টের দোসরদের সাথে নিয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংক খাত সংস্কারের সাথে জড়িত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ফ্যাসিস্টদের বিশেষ সুবিধা দেয়া কুচক্রি মহলের অন্যতম হোতা নজরুল ইসলাম স্বপন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অবমাননার মতো উদ্ধত্ব আচরণ মেনে নেয়া হবে না। অন্যথায় থেমে যাবে আর্থিক খাতের সংস্কার তার সাথে সাথে রাষ্ট্র সংস্কার। বৃথা যাবে জুলাই আন্দোলনে নিহত আহতদের আত্মত্যাগ। তার এই আচরনই প্রমান করে ভবিষ্যতে ব্যাংকখাতে এরাই নতুন ফ্যাসিজম এর প্রতীক হয়ে উঠবে।
ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এক্সিম ব্যাংকের এখন যে অবস্থা তাতে নিজেদের ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্জারের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংক মিলে একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক গঠন করা হলে গ্রাহক ও আমানতকারী সকলেই নিরাপদ হবে।একীভূতকরণের ফলে ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান ১৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী, ৭৭৯টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫০০ এজেন্ট আউটলেট, ১ হাজারের বেশি এটিএম বুথ ও প্রায় ১কোটি গ্রাহক নিয়ে বিশাল আকারে চালু হবে নতুন ইসলামী ব্যাংক। যার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে আসবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ঋণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ হবে স্বাবলম্বী এবং স্বনির্ভর। অগ্রসর হবে দেশ ও দেশের অর্থনীতি।