ঢাকা : গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস লিমিটেডে জনশক্তি রপ্তানির বেশি হতে পারে। এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস লিমিটেড মার্চ মাসে জনশক্তি রপ্তানির জন্য সরকারিভাবে অনুমোদিত সনদ (রিক্রুটিং লাইসেন্স) পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নম্বর (আরএল) ২৮০৬।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনপূর্ব সময়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সনদ প্রাপ্তি প্রশ্ন তুলছে নীতিগত স্বচ্ছতা ও পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে।
এদিকে, মালয়েশিয়া সফরে অধ্যাপক আসিফ নজরুলের অন্যতম আলোচিত এজেন্ডা ছিল এই লাইসেন্স সম্পর্কিত অগ্রগতি। শিগগিরই আলোচনায় থাকবেন আলোচিত ব্যবসায়ী ইসুফ কাকাও।
নতুন এই সংযোগকে ঘিরে নানা গুঞ্জন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল ও মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় হওয়া এই বৈঠকের পর দেশটিতে শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা।
বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। ভিডিওতে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। এছাড়া ট্রেডমন্ত্রীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রথম ধাপে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে মালয়েশিয়া। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়ার কাজ করার সুযোগ পাবেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি, আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে সর্বাচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, বাংলাদেশ থেকে সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে লোক পাঠানোর সুযোগ পায়। তাদের আমরা বিষয়টি ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা অচিরেই বিষয়টি নিয়ে আমাদের জানাবেন।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের আরেকটি বড় অগ্রগতি যেটা হয়েছে, আমাদের শ্রমিকরা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান না। যাতে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান সে ক্ষেত্রে তারা ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া যারা দেশটিতে অবৈধ হয়েছেন তাদের বৈধ করার ব্যাপারে আমি বলেছি।
উপদেষ্টা বলেন, তারা বলেছেন বৈধকরণ প্রক্রিয়া মাঝেমধ্যে হয়। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়। এছাড়া সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ার গিভার, নার্স নেওয়া যায় কিনা কিংবা স্কিল ওয়ার্কার নেওয়া যায় কিনা-এ বিষয়ে তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আশাবাদী, অনেকটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দিক নির্দেশনা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি।