480
ঢাকাসোমবার , ১২ মে ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ : সাউথইস্ট ব্যাংকের লভ্যাংশের অর্থ আত্মসাৎ

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মে ১২, ২০২৫ ১:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ৬ মে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট খোরশেদ আলম চৌধুরী এ অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লভ্যাংশ বাবদ সাড়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন—সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক আলমগীর কবির, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেন, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা, ইএম পাওয়ার লিমিটেড ও মো. আনসার উদ্দিন।

ব্যাংকের অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই কোম্পানি আইন এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের ২এ(২)এ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া, ব্যাংকের নিরীক্ষা পদ্ধতির যথাযথ মূল্যায়ন না করেই ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়—এমন একটি কোম্পানি ইএম পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে বেআইনিভাবে প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার চুক্তি করেন।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর আলমগীর কবির, এম কামাল হোসেন ও জেসমিন সুলতানা মিলে সাউথইস্ট ব্যাংকের সাড়ে ২২ কোটি টাকা দিয়ে ইএম পাওয়ার লিমিটেডের ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার কেনেন। অথচ ইএম পাওয়ার লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আবেদন, সিআইবি রিপোর্ট, প্রসপেক্টাস, আর্থিক বিবরণী ও প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই ছাড়াই এই অর্থ গ্রহণ করে, যা পুরোপুরি অবৈধ ও বেআইনি—এবং ব্যাংক খাতে আর্থিক দুর্নীতির একটি স্পষ্ট উদাহরণ। এই সাড়ে ২২ কোটি টাকা দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ইএম পাওয়ার লিমিটেডের হিসাবে জমা হয় এবং পরবর্তী সময়ে নয়টি চেকের মাধ্যমে তা বিভিন্ন ব্যাংকের অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।

ইএম পাওয়ার লিমিটেড পাঁচ বছরেও ব্যাংকের বিনিয়োগকৃত মূল টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে নির্ধারিত সাড়ে ৭ কোটি টাকা লভ্যাংশ পরিশোধ করেনি। যদিও পরবর্তীতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পর মূল টাকা ফেরত দেওয়া হয়, তবে লভ্যাংশের অর্থ এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালের ১০ মার্চ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পায়।

তদন্তে জানা যায়, ব্যাংকের বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন হলেও তারা কোনো অনুমোদন নেননি এবং বিষয়টি বোর্ডে উপস্থাপন করার জন্য কোনো মেমোও পেশ করা হয়নি।