480
ঢাকামঙ্গলবার , ৬ মে ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আ.লীগ ঘনিষ্ঠদের সাথে আঁতাত করেছে বিএফআইইউ’র প্রধান 

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
মে ৬, ২০২৫ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক: জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি মির্জা আজমের ঘনিষ্ট সহচর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)’র প্রধান এফএম শাহীনুল ইসলাম। তিনি বিএফআইইউ)’র প্রধান হওয়ার পর থেকে থেকে আওয়ামী লীগের অর্থ পাচারকারী রাঘববোয়ালদের বাঁচাতে মরিয়া।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে অর্থপাচারকারী ও অবৈধ সম্পদশালীদের অর্থের বিনিময় তাদের বাঁচার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)’র প্রধান এফএম শাহীনুল ইসলাম। তিনি যোগদান করার পর থেকে এই সংস্থার কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। দুর্নীতিবাজদের সাথে আঁতাত করে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হচ্ছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা যেটি মূলত বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টকৃত সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর), নগদ লেনদেনের প্রতিবেদন (সিটিআর), মানি লন্ডারিং (এমএল) এবং সন্ত্রাসের অর্থায়ন (টিএফ) সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট প্রদান করে। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, সন্ত্রাসের অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং গণধ্বংসের অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সর্বশেষ প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এফএম শাহীনুল ইসলাম ।

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার তিনদিন পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাবের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বিএফআইইউ। কিন্তু এফএম শাহীনুল ইসলাম বিএফআইইয়ের প্রধান হওয়ার পরেই আওয়ামী লীগের নেতাদের আঁতাত করে অর্থের বিনিময় তাদেরকে বাঁচার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তিনি গত ৯ জানুয়ারি সংস্থাটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। তাকে নিয়োগ দেয়ার পরেই কাজের অগ্রগতি কমে গেছে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন এফএম শাহীনুল ইসলাম। সেই সুবাধে আওয়ামী লীগ সকল ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে তার রয়েছে সুম্পর্ক। সেটাকে কাজে লাগিয়ে তিনি কাজ করছেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলারের দাম ১২০ টাকা) এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের রাঘববোয়াল, আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এই পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। সেই অর্থ উদ্ধারে তার কোনো নেই উদ্যোগ। তিনি অর্থ কামানোর জন্য মরিয়া।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তার কাছে বেশি আসছে। তিনি টাকা ছাড়া কোনো কাজই করছেন না। সারাক্ষণ সবাই কাজের তদবির নিয়ে আসেন মানুষ। আর সেই কাজ অর্থের বিনিময়ে করে থাকেন তিনি। সেই জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তৃতীয় তলায় সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন তিনি। যাতে অবাধে শুধু দুর্নীতিগ্রস্থদের সাথেই দেখা করতে পারে। তাই সাংবাদিকদের প্রবেশেও কড়াকড়ি করেছেন। সাংবাদিক প্রবেশে বাধার মূল কারণই হলো এটা। সাংবাদিকরা অবাধ প্রবেশ করলে সবকিছুই জেনে যাবে। তাই তার এই কঠোর সিন্ধান্ত। সাংবাদিকরা মোবাইল করলেও তিনি মোবাইল ধরেন না।

এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে একাধিকবার মোবাইল করলেও তিনি মোবাইল ধরেননি