480
ঢাকাশুক্রবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এলজিইডিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্যে শত কোটি টাকার লেনদেন, অনুসন্ধানে দুদক

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এপ্রিল ২৫, ২০২৫ ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে(এলজিইডি) দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার চরমে। জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ খাতটিতে অভিযোগও পাহাড় সমান। সম্প্রতিএলজিইডিতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বড় ধরনের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ প্রকৌশল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাপক নিয়োগ-পদোন্নতি বাণিজ্যের। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি বাংলার গৌরব পরিবারের হাতে এসে  পৌঁছেছে।

গত ১০ এপ্রিল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারিকৃত এক পত্রে জানানো হয়েছে, এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক। সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু এবং মো. মিজানুর রহমান।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আক্তার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর আলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ।

অভিযোগ অনুসারে, এসব কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার স্বার্থে এলজিইডি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নিকট থেকে ১৩টি পয়েন্টে বিশদ রেকর্ডপত্র ও নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে—২৫৭ জন কর্মকর্তার পিএসসি থেকে নিয়োগ, রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, পদোন্নতির গ্রেডেশন তালিকা, প্রজ্ঞাপন, গোপনীয় প্রতিবেদন এবং নিয়োগ-পদোন্নতির সময়কার প্রধান প্রকৌশলীদের আদেশপত্রের কপি।

এছাড়া, সংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথিও চাওয়া হয়েছে। সব নথি আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে দুদকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এলজিইডি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা হলেও, বারবার এ সংস্থার ভেতরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার দুদকের এই কার্যক্রম যদি নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়, তবে বহুদিনের গোপন দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক, সেতু, জনপদসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।