আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য এখন বাংলাদেশী তৈরি পোশাক অনেক দেশের চেয়ে সস্তা হবে এমনটি মন্তব্য করেছেন শিল্পপতি নাসির মজুমদার। তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে গত ৩ এপ্রিল লিখেন, আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন কিন্তু আমদানি ট্যাক্স শুধু বাংলাদেশের পণ্যের উপর বসান নাই। বাংলাদেশ রিয়েল এস্টেট ক্লাব লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এম জি আর নাসির মজুমদার, সিআইপি, আরও বলেন, গার্মেন্টসে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগি ভিয়েতনাম আমেরিকার প্রডাক্টের উপর ৯০% ট্যাক্স বসিয়ে রেখেছে। এখন আমেরিকা রেসিপ্রোকাল ট্যাক্স বসিয়েছে ঠিক তার অর্ধেক ৪৫%! বাংলাদেশ ৭৪% বসিয়ে রেখেছে।এখন আমাদের উপর তার অর্ধেক ৩৭% ট্যাক্স বসিয়েছে! ভারত আমেরিকার প্রডাক্টের উপর ৫২% ট্যাক্স বসিয়ে রেখেছিল এখন তাদের উপর আমেরিকার ট্যাক্স বসিয়েছে ঠিক অর্ধেক ২৬%! এছাড়া পাকিস্তান, চায়না, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশের উপর ট্যাক্স বসিয়েছে। এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার বলেন, ট্রাম্প সুপার পাওয়ার থাকতে চায় না। সে ব্যবসায়ী। সে টাকা চিনে। ট্রাম্পের নতুন ট্যাক্স আরোপ নীতি অনুসারে যে দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর ট্যাক্স যত আরোপ করবে, তাদের উপর এই ট্যাক্স হার বাড়বে।
আমিতো এর মধ্যে কোন ঝামেলা দেখিনা। ১০% বেইজ ট্যাক্স আর ৩৭% রেসিপ্রকাল ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রডাক্টে। টোটাল ট্যাক্স হবে ৪৭%. এখন বাংলাদেশের উচিত যতটুকু গম, ভুট্টা, গাড়ির পার্টস কিংবা কম্পিউটার এক্সেসরজ আমেরিকা থেকে আনা হয় তার ট্যাক্স কমায় আনা। তাহলে আমাদের প্রডাক্টের উপর আমেরিকার ট্যাক্স আরো কমে যাবে।
আমেরিকান ব্যবসায়ীরা অবশ্যই চেনা পরিচিত অভিজ্ঞ দক্ষ ও বড় তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলো থেকে পোশাক আমদানি করবে এবং প্রতিযোগি বড় পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশী পণ্যে সবচেয়ে কম ট্যাক্স আরোপ করেছে সেই হিসাবে আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য এখন বাংলাদেশী তৈরি পোশাক অনেক দেশের চেয়ে সস্তা হবে এবং আমাদের গার্মেন্টস এর অর্ডার পেতে অসুবিধা হবার কথা না।