480
ঢাকামঙ্গলবার , ১ এপ্রিল ২০২৫
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃত্যু ছাড়াল ২ হাজার ৭০০ জন

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
এপ্রিল ১, ২০২৫ ১১:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কয়েক দশকের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিকম্পে দেশটিতে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এলাকায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তারা বলছে, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানুষের আশ্রয়, খাদ্য ও পানি জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং বলেছেন, ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কার করা হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ আছেন আরও ৪৪১ জন।

গত শুক্রবার দুপুরের দিকে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পড আঘাত হানে। দেশটিতে এক শতাব্দির বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত বছরের প্রাচীন গির্জা ও আধুনিক ভবনও ধসে যায়।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে ধসে পড়া আকাশচুম্বী একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া কয়েক ডজন মানুষকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উদ্ধারকারীরা বলেছেন, উদ্ধার কাজ জটিল হওয়ায় চাপা পড়া লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় বলেছে, মিয়ানমারের মান্দালয় শহরে জাতিসংঘের পরিচালিত একটি প্রাক-বিদ্যালয় ভেঙে ৫০ শিশু ও দু’জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লোকজনের মৌলিক চাহিদা যেমন বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সরঞ্জাম সরবরাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সংস্থাটির জরুরি সেবা শাখার সদস্যরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা লোকজনকে শনাক্ত ও তাদের কাছে জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে অবিরাম কাজ করেছে চলেছেন।

আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (আইআরসি) বলেছে, মান্দালয়ের মতো এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছের এলাকাগুলোতে মানুষের আশ্রয়, খাদ্য, পানি এবং চিকিত্সা সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের তাণ্ডবের মাঝে বেঁচে থাকা লোকজন এখন পরাঘাতের (আফটার শক) ভয়ে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে ঘুমাচ্ছেন।