480
ঢাকারবিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সোনারগাঁও টেক্সটাইলে ভূয়া মজুদ পণ্য

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪ ১:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ব্যবসা কয়েক বছর ধরে খারাপ যাচ্ছে। এরমধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ৫ অর্থবছরের মধ্যে ৩ অর্থবছর লোকসান হয়েছে। বাকি ২ অর্থবছর সামান্য মুনাফা হয়েছ। এই কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে ৫৪ কোটি টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৫৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা তাদের দ্ধারা সরেজমিনে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিকল্প কোন উপায়েও যাচাই করা যায়নি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে নিরীক্ষককে মজুদ পণ্য গণনায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করতে অক্ষম ছিল। যে মজুদ পণ্য ও বিক্রি করা পণ্যে প্রত্যক্ষ ব্যয় (কস্ট অব গুডস সোল্ড) হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এর আগের অর্থবছরেও নিরীক্ষক কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে দেখানো ৫০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ওই বছর নিরীক্ষককে দেরিতে নিয়োগ দেওয়া। ওই বছরেও মজুদ পণ্যের হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন নিরীক্ষক।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ হস্তান্তর করেনি সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই লভ্যাংশ পৃথক হিসাবে জমা রাখেনি।

সোনারগাঁও টেক্সটাইলে ২০১৯ সালের ১৪ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে অপ্রদানকৃত অবস্থায় থাকার পরেও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই লভ্যাংশ প্রদানের মতো এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ নেই।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সোনারগাঁও টেক্সটাইলে ২৪ লাখ টাকার এই ফান্ড থাকলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা বিতরন না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ডেফার্ড ট্যাক্স দায় হিসেবে ৭ কোটি ৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই ডেফার্ড ট্যাক্স দায় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডেফার্ড ট্যাক্স আয় নিয়ে পর্যাপ্ত ও সঠিক নিরীক্ষার জন্য প্রমাণাদি দিতে পারেনি বলে। যে কারনে ডেফার্ড ট্যাক্স ব্যয় ও দায়ের হিসাবে কোথায় ঘাটতি আছে এবং কোন সমন্বয়ের দরকার আছে কিনা, তা জানতে পারেনি নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৫৫.৫৫ শতাংশ মালিকানাই রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৫.১০ টাকায়।