480
ঢাকারবিবার , ১০ নভেম্বর ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করতে বিএটি-স্বপ্নর চুক্তি, অবশেষে জরিমানা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
নভেম্বর ১০, ২০২৪ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

* বিএটির প্রতিনিধি আইটিএস ও স্বপ্নকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা
*সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না, চুক্তি সংশোধন করতে ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর
* স্বপ্ন ছাড়াও সিগারেট বিক্রি করা সব প্রতিষ্ঠানকে একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে-ভোক্তার ডিজি

বেনসন প্যাকেটের মুদ্রিত মূল্য বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ২৮৪ টাকা। প্যাকেটে ট্যাগ লাগানো হয়েছে ৩০০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি প্যাকেট ভোক্তা থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। আবার বেনসনের প্যাকেটের এমআরপি মূল্য ৩২০ টাকা। প্যাকেটে ট্যাগ লাগানো হয়েছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি প্যাকেটে অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। দেশের জায়ান্ট রিটেইল চেইনশপ স্বপ্নের একটি আউটলেটে এই বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে, ২০২৪ সালের ৬ জুন বাজেট ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার দিন থেকে সিগারেটের বাড়তি মূল্য ও রাজস্ব কার্যকর হয়নি। কিন্তু সিগারেট কোম্পানিগুলো বিশেষ করে বিএটি ও জেটিআই বাজেট ঘোষণার কয়েকমাস আগ থেকে চাহিদার চেয়ে বাড়তি সিগারেট উৎপাদন করে। সেই সিগারেট ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সহায়তায় স্টক করা হয়। বাজেট ঘোষণার অন্তত ৫ মাস পর্যন্ত স্টক করা সেই পুরানো দামের সিগারেট বাজারজাত করা হয়। অর্থাৎ পুরনো দামের প্যাকেট নতুন দামে বিক্রি করা হয়। এতে বাড়তি দামের উপর সরকার কোন রাজস্ব পায় না। প্রতিমাসে সিগারেট বিক্রিতে অন্তত ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। যদিও আইন অনুযায়ী,সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপির বেশি নেয়ার বিধান নেই।। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বপ্নর কর্মকর্তা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এমআরপি আমাদের কেনা দাম। কোম্পানি লাভের টাকা নিয়ে আমাদের স্টিকার লাগিয়ে দেয়। আমরা বেশি দামে বিক্রি করি, তবে আমাদের সফটওয়্যার আপডেট না। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল স্বপ্নর কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যত জনের কাছে বিক্রি করেছেন, ততবার দন্ডারোপ করার বিধান রয়েছে। অপরাধ স্বীকার করায় সর্তকর্তামূলক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। আমরা একটা অপরাধ আমলে নিয়েছি, আর সব অপরাধের জন্য সর্তক করা হলো।

অপরদিকে, সেই জরিমানার বিষয়ে আপত্তি জানালে স্বপ্ন, বিএটি ও বাটাকে নিয়ে গত (৮ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার শুনানির আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শুনানি শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘সিগারেট প্যাকেটের গায়ের বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে স্বপ্নকে ৪ নভেম্বর জরিমানা করা হয়েছে। এখন স্বপ্ন বলছে, আমরা আইটিএস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কারণে বেশি দামে বিক্রি করি। আর আইটিএস বিএটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। অর্থাৎ আমাদের (স্বপ্ন) কাছে বিএটির প্রতিনিধি হলো আইটিএস। আইটিএসের সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষিতে স্বপ্ন বেশি দামে বিক্রি করেছে। আমি দুই পক্ষকে ডেকে দেখলাম যে চুক্তি আছে।’ তিনি বলেন, ‘বিচারের নীতি হলো-রোমান একটা ওয়ার্ড আছে রেড জুড়িকাটা। অর্থাৎ একই ঘটনায় দুইবার বিচার করা যায় না। তাহলে আমরা যে জরিমানা করলাম, এখন তো দেখা যাচ্ছে যে স্বপ্নের একটা অপরাধের মধ্যে বিএটি জড়িত। সুতরাং ৫০ হাজার টাকাকে আমি ফাইনাল দুই ভাগ করে দিলাম। ২৫ হাজার স্বপ্ন দেবে। আর ২৫ হাজার বিএটির প্রতিনিধি আইটিএস দেবে। আর তাদের (স্বপ্ন-বিএটি) ভবিষ্যতে সিগারেট অধিক মূল্যে বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হলো। শুনানিতে তারা অনেক ঝুক্তি দেখিয়েছে। আমাদের কথা হলো এমআরপির উপরে যাওয়া যাবে না। যেটা আগে সিদ্ধান্ত দিয়েছি, সেটা সঠিক থাকবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বপ্ন-আইটিএস যে চুক্তিতে ক্রুটি আছে, তা ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশোধন করবে। তারা যে সময় চেয়েছে, তা দেয়া হয়েছে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান, যাদেরকে আজ একই অপরাধে (বেশি দামে সিগারেট বিক্রি) জরিমানা করা হয়নি, তারাও একই নিয়ম অনুসরণ করবে। তাদের জন্য আলাদা কোন আইন হবে না। অর্থাৎ রিটেইল প্রাইসের অতিরিক্ত দামে কেউ সিগারেট বিক্রি করতে পারবেন না।’
জানা গেছে, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া বাজারে কয়েকটি দোকানে ব্রিটিশ টোব্যাকোর হলিউড-বেনসন সিগারেটের ডিলার প্রতিনিধিরা প্যাকেটের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করেন। এমন অভিযোগ পেয়ে তালতলী সদরের ব্রিটিশ টোব্যাকো ডিলারের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ডিলার প্রতিনিধিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি না করার মুচলেকা নেওয়া হয়।