480
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব নাজমা মোবারেক

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
অক্টোবর ৩১, ২০২৪ ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রায় আড়াই মাস পর বিভাগটি নতুন সচিব পেল।

এতদিন সচিব নিয়োগে দেরি হওয়া নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আশঙ্কা ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় কি-না। আগের মতো এটিকে অর্থ বিভাগের একটি অনুবিভাগে পরিণত করার দাবি তুলেছিল বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও একই দাবি তুলেছিলেন। তবে এসব দাবি আমলে নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।

নাজমা মোবারেক বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা। দীর্ঘ সময় অর্থ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে ২০২৩ সালের ৬ জুন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী এই কর্মকর্তা পরে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্সে এমএসসি ডিগ্রি নেন।
বিভাগটির শেষ সচিব ছিলেন মো. আবদুর রহমান খান, যিনি বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান। আবদুর রহমান খান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ছিলেন তিন মাস (১৯ মে থেকে ১৯ আগস্ট)। তিনি এই বিভাগের নিয়মিত সচিব ছিলেন গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। গত ১৬ মে আগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১০ দিনের মাথায় আবদুর রহমান খানকে এনবিআরের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ১৫ আগস্ট ভিন্ন এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয় সরকার। পাঁচ দিনের মাথায় গত ২০ আগস্ট অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমানকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরদিন ২১ আগস্ট এ প্রজ্ঞাপনও বাতিল করা হয়। ওই দিন নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে এ বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভাগেরই অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সেই থেকে ২ মাস ৯ দিন ধরে তিনি এ বিভাগ সামলাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ), সাধারণ বীমা করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার কাজটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ করে থাকে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ইত্যাদি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) নিয়োগও এ বিভাগই দেয়; যদিও শর্ত হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘অনুমোদন সাপেক্ষে’ নিয়োগ দিতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার নজির নেই বললেই চলে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।