480
ঢাকাবুধবার , ২৮ আগস্ট ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চালু থাকছে ইডিএফ ফান্ড, শিগগিরই এলসি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেস্ক
আগস্ট ২৮, ২০২৪ ১০:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

*চালু হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড

এস আলম গ্রুপের যে ছয়টি ব্যাংকের এলসি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে  তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল তথা ইডিএফ ফান্ড এখনই বন্ধ না করে বিদ্যমান তিন বিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ফান্ড অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  অপরদিকে রপ্তানির চাকা সচল রাখতে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ -এর প্রতিনিধি দলের এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি এবং ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কারণে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি ব্যাংকের এলসি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে এসব ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যক্রম পুনরায় সচল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আশ্বাস দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন হয়ে যাবে। এরপর এলসি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের আরো কয়েকদিন ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন গভর্নর।
এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এখনই বন্ধ না করে  বিদ্যমান তিন বিলিয়ন ডলারের ফান্ড চালু রাখার আবেদন করা হয়। গভর্নর বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এরপর বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে তৃতীয় একটি দাবি তুলে ধরা হয়। তারা জানান, গত দুই মাস ধরে দেশে চলমান অস্থিরতায় পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রপ্তানির টাকা সচল রাখতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ৩০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ ফান্ড (সফট লোন) গঠন করা প্রয়োজন। আগামী এক বছরের মধ্যে সুদসহ এ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ’ সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকার একটি সফট লোন প্যাকেজ চলু করতে সম্মত হয়েছে।এছাড়া ইডিএফ কার্যক্রম চালু থাকবে। ছয় ব্যাংকের এলছি সমস্যা ও দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর।’

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোর কৌশল সীমিত সময়ের জন্যে কাজ করে। এটি কোন দীর্ঘ মেয়াদি স্থায়ী সমাধান নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসুক সেটা আমরাও চাই।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীদের খরচও বাড়ে। কারণ তখন আমাদের শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হয়। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য আমাদের সবাইকে কষ্ট করতে হবে।

তিনি বলেন, এসএমই খাতে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কয়েকটি স্কিম রয়েছে। এই স্কিমগুলো যদি বেগবান করা যায় তাহলে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য জন্য ভালো হবে।

এছাড়া বৈদেশিক ঋণের প্রক্রিয়া কিভাবে সহজ করা যায়, ব্যাংক ঋণের অন্যান্য ব্যাসেলগুলো কিভাবে কমানো যায় সেবিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ঋণের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য সুদের যে চাপ পড়ছে সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে।

ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধির পেছনে একটি মূল কারণ ব্যাংক লোপাট। অসাধু ব্যাবসায়ীরা ব্যাংক থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরফলে ব্যাংকের কষ্টিং বেড়েছে, একইসঙ্গে সুদহারও বেড়েছে। এরকম যারা ব্যাংক লোপাট ও অর্থপাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা কোনো ব্যাংক লোপাট করিনি। কেউ যদি ব্যাংকের টাকা লোপাট করে তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ঋণগ্রহীতাকেই সেটার খরচ দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, কু-ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমে যাবে। লুটেরাদের ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক যা করছে তাদের সঙ্গে আমরাও একমত।

এদিকে সম্প্রতি ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা আজকে থেকে কার্যকর হয়েছে।
সর্বশেষ তিন মাস আগে গত ৮ মে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রসঙ্গত গত বছরের মার্চ থেকে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে মিল রেখে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।#