480
ঢাকাবুধবার , ২৮ আগস্ট ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য জামায়াত নিষিদ্ধের ইস্যুকে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ: ড. আসিফ নজরুল

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উবা প্রতিবেদক, ঢাকা
আগস্ট ২৮, ২০২৪ ১০:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগ কোন নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করে নাই বলে মনে করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অপকৌশলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য ইস্যুটাকে এভাবে ব্যবহার করেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে জামাত শিবিরের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডক্টর আসিফ নজরুল বলেন, আমরা ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত প্রত্যাখিত একটি দলের (আওয়ামী লীগ) ন্যারেটিভ এর পার্ট হতে পারিনা। এটাই হচ্ছে আমাদের বক্তব্য। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জঙ্গি কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করার পার্ট হিসেবে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই নারীটিভটা সত্য না, এটার ছাত্র জনতার বিপ্লব ছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মিথ্যা ন্যারেটিভের পার্ট আমরা হতে পারি না।
এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, এটা জামাতকে চাপে রেখে তাদের কথামতো চলার একটা কৌশল হিসেবে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দোদন্ড প্রতাপে থেকেও কখনো জামাতকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় যখন পরাজিত প্রায় অবস্থা তখন এই পুরো বিপ্লবটাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যায়িত করে অবাধে দমন নিপীড়ন চালানোর একটা পর্যায়ে জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে। সেটা কোন নীতিগত অবস্থান হতে পারে না।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আপনি জানেন যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের একটা দাবী হাইকোর্টে উত্থাপিত হয়েছে তখন আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়েছে এটার বিপক্ষে দাড়িয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না।
আদালতে আসামিদের উপরে হামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডক্টর আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যে হামলা গুলো হচ্ছে এটা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য না।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সংবিধানের ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন,
নির্বাচন কমিশনের প্রথমে তাদের রিয়েলাইজ করা উচিত তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কি ছিল। ভুয়া নির্বাচন করা কি তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল আগে তাদের সেই বিবেচনাটা করা দরকার। আগে ওনারা আত্ম সমালোচনা করুক। উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এরই মধ্যে গণমাধ্যমে বলেছেন গত সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উনি আগে আত্ম উপলব্ধি করুক এই স্বৈরাচারী সরকার টাকার অধীনে এসেছে। যাইহোক এটা দরকার কি দরকার না এটা উনার কথাতে আমাদের পরিচালিত হওয়ার কোন কারণ নাই। আমাদের আইন উপদেষ্টারা আছেন আমরা সব সময় সবদিকে দৃষ্টি রেখেই এটা করব। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি ডকটিন অফ নেসেসিটি বলে একটা কথা আছে। তারপর আমাদের সংবিধান কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে সেটা নিয়েও কোর্টে মামলা রয়েছে। এখন এই বিষয়ে মতামত করার কোন সুযোগ নেই।