480
ঢাকাবুধবার , ২৮ আগস্ট ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্থপাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে: টিআইবি

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উবা প্রতিবেদক, ঢাকা
আগস্ট ২৮, ২০২৪ ১০:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশ থেকে অর্থপাচার রোধ করা ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের কার্যকর জবাবদিহিতার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর),ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।

‘নতুন বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক সুপারিশ প্রদান উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মূল সুপারিশ তুলে ধরেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ড. সুমাইয়া খায়ের, মুহাম্মদ বদিউজ্জামান, মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মো. জুলকারনাইন, শাহজাদা এম আকরাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে ৯টি বিষয়ে ৫৫টি সুপারিশ করা হয়। তারমধ্যে ‘অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ ও অর্থপাচার রোধ’ শীর্ষক অধ্যায়ে বলা হয়-দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা ও সক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য

ক. দুদকের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসহ জনবল নিয়োগ, পদায়ন ও বদলির ক্ষমতা দুদক সচিবের কাছ থেকে সরিয়ে কমিশনের হাতে ন্যস্ত করতে হবে।
খ. দুদকে পরিচালক হতে ঊর্ধ্বতন পদসমূহে প্রেষণের মাধ্যমে পদায়ন বন্ধ করতে হবে। গ. দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার বিষয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের ক্ষমতাকে নিশ্চিত করতে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করতে হবে (যেমন, সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৮; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও আয়কর আইন, ২০২৩)। কেননা এই আইনে কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা দুদক আইনের পরিপন্থী।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে। সেজন্যে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, যেমন- দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে।

অর্থপাচার রোধ ও অর্থ ফেরত আনতে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের কার্যকর জবাবদিহির অনুকরণীয় উদাহরণ স্থাপনে দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর, সিআইডি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে সম্পৃক্ত করে স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিত্ব ও সরকারি কার্যক্রমে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থতা, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে “স্বার্থের দ্বন্দ্ব আইন” প্রণয়ন করতে হবে। যে সকল দেশে অর্থপাচার হয়েছে, সেই সকল দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে পারস্পরিক আইনি সহায়তা (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) কার্যকর করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি, হুন্ডি, আর্থিক খাতে জালিয়াতি ও বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কৃত সকল অর্থ পাচার বন্ধ করতে হবে; বিশেষ করে বিএফআইইউ, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, দুদক, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে যোগসাজশমূলক চালান জালিয়াতিনির্ভর অর্থপাচারের প্রক্রিয়া রুদ্ধ করতে হবে। দেশে-বিদেশে সকল আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে “দ্য কমন রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)”-এর মাধ্যমে অনতিবিলম্বে আর্থিক লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য প্রাপ্তির সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তিখাতের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে মালিকানার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এবং খেলাপি ঋণ ও অর্থপাচার রোধে “মালিকানার স্বচ্ছতা আইন (বেনিফিসিয়াল ওনারশিপ ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট)” প্রণয়ন করতে হবে