অব্যবহৃত ডাটার পরিবর্তে ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা বোনাস থেকে ৫০০ এমবিও ব্যবহার করতে পারেনি ইন্টারনেট ধীরগতি থাকার কারণে বলে দাবি করেছেন গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটানা দশ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ তারিখ বিকালে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। যদিও রাত আটটা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট সচল হয়নি। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ছিল মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সাথে সাথে গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সাথে আলোচনা না করে প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয় অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস হিসেবে দিবে। মান্থলি প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত 5gb ইন্টারনেট ডাটা প্রদান করে যদিও টেলিটক গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএস এ নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল তিন এমবিপিএস। ফলে ইন্টারনেট ডাটা সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৫০ জিবি খরচ করতে পেরেছে গ্রাহক। আজ বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডাটা। আমাদের দাবি।
১) ফোরজি গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস প্রদান করতে হবে।
২) গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।
৩) ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দিতে হবে।
৪) ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০% কম আদায় করতে হবে।
৫) রাস্তাঘাটে মোবাইল চেক করার নামে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদেরকে যাতে হেনস্থা করা না হয়।
আগামী দুই দিনের মধ্যে আমাদের দাবি দাওয়া মেনে না নিলে আগামী রবিবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।