480
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ জুলাই ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উবা প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই ৪, ২০২৪ ১২:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। ব্লু ফাইন্যান্স শুধু অর্থ মন্ত্রণলায়ের বিষয় নয়, এর সাথে অনেক মন্ত্রণলায় ও বিভাগের অংশিদারিত্ব রয়েছে। ইন্টারনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ব্লু বন্ড ও ব্লু লোন ইস্যু করছে, বাংলদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আইএফসি দেশে ব্লু বন্ড চালু করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের নিমিত্ত ‘Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974’ প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সদের ওপর দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি  গতকাল ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘Ocean Prosperity – Catalyzing Blue Economy in Bangladesh’ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্লু ফাইন্যান্স ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপার্সন হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এ সেশনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো নজিবুর রহমান, চেয়ারম্যান, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড,বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো: হাবিবুর রহমান।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থ বছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য একশত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০ টি মন্ত্রণলায়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে।

ব্লু ফাইন্যান্স বিষয়ে ব্রেকআউট সেশনে কিনোট স্পীকার ছিলেন প্রফেসর ড. লেইলা চৌকরুন (Dr. Leila Choukorne) , ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথ, যুক্তরাজ্য;
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তারেক, সদস্য, সিএমএসএফ; ড. হাসান ইমাম, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এসোশিয়েশনেল এবং আমিনুল আরেফিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ইউএনডিপি। সেশনটি সঞ্চালনায় ছিলেন ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, র‌্যাপিড।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মহাসাগরীয় অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, ২০১০ সালের তুলনায় ৪০ মিলিয়ন লোককে কর্মসংস্থান করবে। উদ্ভাবনী অর্থায়ন সমাধানগুলি সমুদ্র ও উপকূলীয় সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধ পানির সম্পদ বৃদ্ধির চাবিকাঠি, এবং ব্লু ফাইন্যান্সের সাহায্য করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।