এবার ব্যবসায়ীরা চামড়ার সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে। এর ফলে কোনো ট্যানারি মালিকই ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকার নিচে কিনতে পারবেন না। পাশাপাশি সারা দেশে লবণযুক্ত চামড়ার দামও আগের তুলনায় প্রতি বর্গফুট ৫-১০ টাকা বাড়িয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মানে হচ্ছে, মাঠপর্যায়ে কাঁচা চামড়ার দামও সেই হারে বাড়ার কথা।
আরও সুখবর হচ্ছে, বিগত সময় নানা কারণে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে গুটিকয়েক ট্যানারি ছাড়া বাকিরা ছিল উৎপাদনের বাইরে। এবার সেই প্রতিবন্ধকতা থেকেও বেরিয়ে আসছে ট্যানারিগুলো। এখন এই শিল্পনগরীতে ১৪২টি ট্যানারিই উৎপাদনে রয়েছে। রপ্তানিবাজার এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে মিলে দেশে-বিদেশে এখন চামড়ার ভালো চাহিদাও রয়েছে। এখন কোনো মহল থেকে চামড়ার দর ফেলতে নতুন করে পরিকল্পিত সিন্ডিকেটের উদয় না ঘটলে এবং বেঁধে দেওয়া লবণযুক্ত চামড়ার দাম অনুযায়ী মাঠপর্যায় থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনায় পরিপক্বতা দেখালে—এ বছর কোরবানির চামড়া কেনাবেচায় কোনো ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন চামড়া ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠনের নেতারা। দেশে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। যাদের আওতায় বর্তমানে ১৪২টি ট্যানারি একযোগে কাজ করছে। অন্যদিকে সারা দেশের মাঠপর্যায়ের চামড়া কিনে লবণজাতের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএসমএ)। আর প্রক্রিয়াজাত চামড়া কিনে প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ)।
সংগঠন সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশে রপ্তানি খাত এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে যে পরিমাণ চামড়ার দরকার হয়, তার ৬০ শতাংশই সংগ্রহ হয়ে থাকে এই কোরবানির মৌসুমে। চলতি কোরবানির মৌসুমে সারা দেশ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ পিস চামড়া পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে কোরবানির দিন থেকেই মাঠপর্যায়ের এসব চামড়া সংগ্রহে সারা দেশে দেড় লাখের বেশি দালাল-ফড়িয়া, ব্যাপারী, আড়তদার, ট্যানারি মালিক এবং প্রায় ১০ লাখ মৌসুমি ব্যবসায়ী এরই মধ্যে যার যার মতো করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সাধারণত এই চামড়া কেনার জন্য ট্যানারি মালিকরা গড়ে ৫ কোটি টাকা, নিয়মিত চামড়া ব্যবসায়ীরা ন্যূনতম ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ১-১০ লাখ টাকা পুঁজি খাটান। সব মিলিয়ে কাঁচা ও লবণযুক্ত মিলে এই সময় ৮০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। যার সব কিছুই আবর্তিত হচ্ছে বর্তমানে উৎপাদনে থাকা দেশের ১৪২টি ট্যানারি ঘিরে। কোরবানির দিন থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সারা দেশে কয়েকবার হাতবদলের মাধ্যমে এসব চামড়া ঢুকবে ট্যানারিতে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্যানারি মালিকরা লবণ যুক্তের পাশাপাশি কোরবানি দিন নিয়োজিত দালাল-ফড়িয়ার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কাঁচা চামড়াও কিনছেন।
এদিকে চলতি মৌসুমে চামড়ার ভালো দাম পাওয়ার আভাস মিললেও গতানুগতিক ধারার কিছু শঙ্কা এবারও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই শঙ্কাগুলো হলো—চামড়া কেনায় ব্যাংকগুলোর অপর্যাপ্ত অর্থায়ন, মাত্রাতিরিক্ত গরমে চামড়ার পচন ঠেকানো, শেষ পর্যন্ত দামের সর্বনিম্ন সীমা রক্ষা এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অজ্ঞতা।
চামড়া কেনায় ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন অপর্যাপ্ত: এ বছর চামড়া সংগ্রহে বাজারে আরেকটা উদ্বেগ হলো এ খাতে ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন অনেক কমে গেছে। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে এবার ঋণ দেওয়া হয়েছে; যার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও কম। সেটিও আবার আগের পাওনা ঋণ কেটে অবশিষ্ট অর্থ দেওয়া হয়েছে ট্যানারি মালিকদের হাতে। এমন দাবি ট্যানারি মালিকদের।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় ও কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে ট্যানাররা ২৭০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পাবেন। গত বছর ব্যবসায়ীরা অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চাইলেও পেয়েছেন তার মাত্র অর্ধেক, ২৫৯ কোটি টাকা। তবে ২০২২ সালে ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল, ৪৪৩ কোটি টাকা। চামড়া কেনাবেচায় অর্থায়নের আরেক বড় শঙ্কা হলো ট্যানারি মালিকদের কাছে মাঠপর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ পাওনা বকেয়া থাকা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ফলে নগদ অর্থের অভাবে অনেক চামড়া ব্যবসায়ী বিনিয়োগ সংকটে ভুগছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মাত্রাতিরিক্ত গরমে চামড়ার পচন ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ: চামড়া ছাড়ার পর ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যেই কাঁচা চামড়ায় লবণ দিতে হয়। গরুর চামড়া হলে ৩৫ শতাংশ পাতলা বা অন্যান্য চামড়া হলে ৪০ শতাংশ লবণ দিতে হয়। মোটা-পাতলা বুঝে ৪ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় সংরক্ষণে রাখতে হয়। কিন্তু অতিমুনাফা, পরিবহনে দীর্ঘসূত্রতা, কোরবানি দাতা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের উদাসীনতার কারণে এই নিয়মমাফিক প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় না। ফলে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে প্রতি বছর ১৮-২০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। মাত্রাতিরিক্ত গরম আর বৃষ্টি মিলে এবারও উল্লেখযোগ্য চামড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দামের সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ: ট্যানারি মালিকরা এবার প্রতি বর্গফুট চামড়া দাম নির্ধারণের পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন সীমাও বেঁধে দিয়েছে। এখন শেষ পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা এই প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করবেন সেটি নিয়েই রয়েছে।
তবে এই শঙ্কা মারিয়ে এবার চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত প্রক্রিয়ার মধ্যে বেশ কিছু স্বস্তির আভাসও রয়েছে।
চামড়া কিনতে মুখিয়ে ১৪২ ট্যানারি: পরিস্থিতি বদলেছে। দেশে চামড়ার বাজারে স্থিতিশীলতার আভাস মিলতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম বেড়েছে। চাহিদা বেড়েছে দেশের বাজারেও। ফলে চলতি বছর ট্যানারিগুলোর উৎপাদন সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ চামড়ার প্রয়োজন পড়বে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে দেশের চামড়া দেশেই ধরে রাখতে ট্যানারিগুলো কাঁচা ও লবণযুক্ত চামড়ার ভালো মূল্য দিতেও সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। তারা চায় চলতি কোরবানির মৌসুমে পাওয়া সব চামড়াই পর্যায়ক্রমে ট্যানারিগুলোতে প্রবেশ করুক। সেজন্য মাঠপর্যায়ের এসব চামড়া সংগ্রহে সারা দেশে দেড় লাখের বেশি দালাল-ফড়িয়া, ব্যাপারী, আড়তদার, ট্যানারি মালিক এবং প্রায় ১০ লাখ মৌসুমি ব্যবসায়ী এরই মধ্যে যার যার মতো করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
পাচারের সম্ভাবনা কম: এতদিন কোরবানি এলেই চামড়ার দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হত। আর কম দামে কেনার জন্য আগেভাগেই পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করত। এ বছর ঠিক তার উল্টো ঘটতে চলেছে। এবার চামড়া পাচার হয়ে যাবে এমন মনে করছেন না চামড়া খাত-সংশ্লিষ্ট বড় তিনটি সংগঠনই। কারণ, দেশেই চামড়ার প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। দামও বেড়েছে। তদুপরি কোনো সীমান্ত দিয়েই চামড়া পাচারের সুযোগ নেই বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকেও। এতে বলা হয়েছে, দেশের যে কোনো সীমান্ত দিয়ে কোরবানির চামড়া পাচার ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি টহল জোরদার এবং বিভিন্ন পয়েন্ট বিজিবির লোকবল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি চামড়াবোঝাই কোনো ট্রাক সীমান্ত অভিমুখে যাতে না যেতে পারে সে লক্ষ্যে বন্দর এলাকাসহ স্থল, জল ও রেলপথে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ ছাড়া চামড়া চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করে তাদেরও গতিবিধিও কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল থেকে পরবর্তী এক মাস এই সতর্কতা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংকট নেই লবণে, দামও কম: কোরবানি এলেও চামড়ার আড়তদার সংগঠন থেকে বলা হতো, লবণের বিরাট সংকট রয়েছে। দামও বেড়ে গেছে লাগামহীন। লবণ নিয়ে সিন্ডিকেটের দাবিও করা হচ্ছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি তার ব্যতিক্রম। দেশে এবার লবণ উৎপাদনে স্মরণকালের রেকর্ড গড়েছে। বাজারেও লবণের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আড়তদার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আবার দামও গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কম। গতবার যেখানে প্রতি কেজি লবণের দাম ছিল ১৭-১৮ টাকা। এবার তার কেজি ১৪-১৬ টাকার মধ্যে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, কোরবানির চামড়ায় তখনই নৈরাজ্য তৈরি হয়, যখন দেশে এর চাহিদা এবং দাম কম থাকে। লবণের সংকট দেখা দেয়, দাম বেশি থাকে। এবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, দেশে এখন ১৪২টি ট্যানারি উৎপাদনে আছে। তাদের সবারই চামড়ার চাহিদা আছে। তা ছাড়া মাঠপর্যায়ে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দামও আগের তুলনায় ৫-১০ টাকা হারে বেড়েছে। সর্বনিম্ন দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কোনো ট্যানারি মালিক ঢাকার লবণযুক্ত চামড়া ১ হাজার ২০০ টাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে ১ হাজার টাকার নিচে কিনতে পারবে না। এর মানে হচ্ছে, মাঠপর্যায়ে কাঁচাচামড়ার দামও আগের তুলনায় বেশি হবে।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন জানান, বিগত যে কোনো বছরের তুলনায় এ বছর চামড়া সংগ্রহে সার্বিক প্রস্তুতি বেশ সন্তোষজনক। চামড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা যার যার মতো করে প্রস্তুতি শেষ করেছে। দেশে দাম ভালো হওয়ায় এবং চাহিদা বাড়ায় এবার চামড়া পাচারের কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসমএ) সভাপতি মো. আফতাব খান জানান, এবার কোরবানির পশু সংরক্ষণে লবণ নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরির আশঙ্কা দেখছি না। এ বছর দেশে লবণের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। দামও তুলনামূলক কম। গতবারের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি লবণের দাম কমেছে ২-৩ টাকা। ফলে আশা করছি, সময়মতো লবণ প্রয়োগ করা গেলে চামড়ার পচন রোধ করা সম্ভব হবে
কঠোর নজরদারিতে পুলিশ : কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচায় যাতে কেউ সিন্ডিকেট করতে না পারে সেজন্য পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল শনিবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহবিষয়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় সভায় তিনি বলেন, লবণের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। একইভাবে কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বহির্গমন পথগুলোতে বসানো হবে চেকপোস্ট ও পুলিশের টহল। শুধু গাবতলী হয়ে চামড়ার গাড়িগুলো হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এ ছাড়া সব জেলার চামড়া যাতে সীমানা দিয়ে বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও আইজিপির নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। চামড়া কেনাবেচায় চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলেও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।