480
ঢাকারবিবার , ১৬ জুন ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাঁঠাল পাতার দুটি ডাল ৫০ টাকা, একমুঠো খড় ২০ টাকা

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উবা প্রতিবেদক, ঢাকা
জুন ১৬, ২০২৪ ১২:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমাণ পশু খাদ্যের অসংখ্য দোকান বসেছে রাজধানীর অলিগলি এবং মূল সড়কের আশপাশে। এসব অস্থায়ী দোকানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পশুখাদ্য। ছাগলের জন্য কাঁঠাল পাতার দুটি ডাল মিলিয়ে তৈরি করা একটি আঁটির দাম রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। আর গরুর জন্য একমুঠো শুকনো খড় ২০ টাকা এবং সবুজ ঘাস মান ও জাতভেদে ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, হাজারীবাগ, ঝিগাতলা, ধানমন্ডি এবং নিউমার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানগুলোতেই খড়, নেপিয়ার ঘাস, ভূষি, কাঁঠাল পাতা বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এসব পশু খাদ্যের দাম চাওয়া হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি।
বিক্রেতারা জানান, শহরে যারা কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে গরু-ছাগল কিনেছেন তাদের যেন পশুর খাবারের জন্য চিন্তা করতে না হয় সেজন্যই এসব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝিগাতলা ফুটপাতের ওপর অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসা রবিন হোসেন বলেন, সাভার মানিকগঞ্জ থেকে এসব পশুখাদ্য নিয়ে আসা হয়েছে। দাম কিছুটা বাড়তি হওয়ার কারণ হচ্ছে দূর থেকে এসব আনতে পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে দাম রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শুকনো খড় ১০ টাকা আঁটি থেকে শুরু হয়েছে। এখন যে যত পরিমাণে নেবে সে হিসেবে টাকা দিতে হবে। বিভিন্ন জাতের সবুজ ঘাসের আঁটির দাম ২০-৫০ টাকা। আবার ছোলার ভূষি ৬০ টাকা, গমের ভূষি ৫০ টাকা এবং মোটা লবণ ৩০-৫০ টাকা কেজি দাম রাখা হচ্ছে। আমরা বছরে তো একবারই ব্যবসা করি। কিছুটা লাভ না হলেই চলে না।
রাজধানীর হাজারীবাগের শেরে বাংলা রোডের তিন মাজার এলাকায় কাঁঠালের পাতা বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রেতা মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের নিজস্ব গাছ আছে। সেখান থেকেই এসব কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি আঁটি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যারা ছাগল ভেড়া কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তারা এই পাতা কিনছেন। ঢাকায় সবাই কাঁঠাল পাতা পাবে না। সেজন্য আমরা গাছ কেটে নিয়ে এসেছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি এসব দোকানে রাখা হয়েছে বাঁশের বা হোগলা পাতার তৈরি দাঁড়ি (পাটি)। যার প্রতিটির দাম হাঁকা হচ্ছে আকারের উপর ভিত্তি করে। তবে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যেই রয়েছে এসব পাটির দাম।
এমন অবস্থায় অনেকটা নিরুপায় হয়েই রাজধানীর মানুষজনও চড়া দামেই এসব পণ্য কিনছেন। তারা বলছেন, আজকের দিন পেরিয়ে রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। এরপরেই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মুসলমানরা পশু কোরবানি করবেন। এরইমধ্যে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী গরু-ছাগল কিংবা অন্যান্য পশুও কিনে ফেলেছেন অধিকাংশ মানুষজন। শহুরে বাস্তবতায় এসব পশুর খাবার যোগাড় করা কঠিন কাজ। কারণ গ্রাম থেকে নিয়ে আসা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল কিংবা গরু, মহিষ প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত। আর শহরে ঘাস কিংবা কাঁঠাল পাতা জোগাড় করা কঠিন কাজ। সেজন্য দাম বেশি হলেও পশুকে সতেজ রাখার জন্য কিছুটা বাড়তি দামেই খাবার কিনতে হচ্ছে।
রবিউল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, দুটি ডালের কাঁঠাল পাতার দাম ৫০ টাকা। এটা অবিশ্বাস্য। তারপরও শহরের বাস্তবতায় নিতেই হবে। কারণ আমি যে ছাগল কিনেছি তাকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত কাঁঠাল পাতা আমার নেই। সেজন্য বাধ্য হয়ে বেশি দাম দুয়েই এখান থেকে পাতা কিনেছি। তাছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই পশু কোরবানি দিচ্ছি। সেখানে দামের বিষয়টি একেবারেই গৌণ।
আরিফুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গরুর জন্য খড় এবং ভূষি নিয়েছি। দাম বেশি কি কম সেটা বলতে পারছি না। কারণ, আমরা এগুলো নিয়মিত কেনাকাটা করি না। কোরবানি দেওয়ার জন্য যে পশু কিনেছি তার যেন কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই খাবার নিয়েছি। দামের বিষয়টি আর চিন্তা করিনি।