480
ঢাকামঙ্গলবার , ১১ জুন ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সার্কুলার অর্থনীতিতে আমাদের দারুণ সম্ভাবনা : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
হাওলাদার সবুর, ঢাকাু
জুন ১১, ২০২৪ ১১:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বে তৈরি পোশাকের (আরএমজি) দ্বিতীয় বড় উৎপাদক বাংলাদেশ। আরএমজি বর্জ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ দ্বিতীয়। তাই সার্কুলার অর্থনীতিতে আমাদের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহার ও রিসাইকেলের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্রান্ড, প্রস্তুতকারক, শ্রমিক, উন্নয়ন সহযোগিদের সমন্বয় ও সহযোগিতাই সার্কুলার অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি বলেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘২য় বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিট’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড’র সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সার্কুলার ইকোনমির লক্ষ্য সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে অধিক উপযোগিতা তৈরি করা। এতে উৎপাদক ও ক্রেতা উভয়ই লাভজনক হতে পারে। সেক্ষেত্রে শিল্পোত্তর বর্জ্যের সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। এদেশের পোশাক উদ্যোক্তারা সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে যেভাবে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।

টেকসই উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রমাণ করে দেশের অর্থনৈতিক ও শিল্প বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য পরিবেশ ধ্বংস করতে চাই না। কারণ আমাদের একটাই পৃথিবী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মেলনে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি হেড অব মিশন থাইস ওডস্ট্রা, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জান জানোস্কি ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিনসহ উন্নয়ন সহযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী সেমিনারে চারটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলে। এতে আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- ফরমালাইজিং দ্যা ইনফরমাল ঝুট সেক্টর, ক্লোজিং দ্য লুপ অব টেক্সটাইল ওয়েস্ট, সার্কুলার ডিজাইন: বাস্তবতা বনাম চ্যালেঞ্জসমূহ এবং ট্রান্সপারেন্সি ও ট্রেসেবিলিটি ইন সার্কুলারিটি। এ সামিটে ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স অ্যান্ড লেজিসেশন অন সার্কুলারিটি শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। ব্রাসেলস স্কুল অব গভর্নেন্সের রিসার্চ সেন্টারের সহপরিচালক অধ্যাপক হ্যারি কালিমো মার্কেট ইনসেন্টিভ ফর ইকো-ডিজাইনের: দ্যা কেস অব ইকো-মডুলেশন শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এ ন্যাশনাল সার্কুলার টেক্সটাইল রোডম্যাপ ফর বাংলাদেশের’ উপর আলোচনা করেন চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্যাট্রিক শ্রোডার। এই সামিটে ‘ম্যাপিং দ্য ওয়ে ফর দ্য আরএমজি সার্কুলারিটি’ শীর্ষক একটি ‘ব্রেকআউট সেশন’ ছিল। যার আয়োজক বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সার্কুলারিটি বর্তমান সাসটেইনেবল ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সার্কুলারিটি বাস্তবায়নের পথকে সুগম ও অগ্রযাত্রাকে বেগবান করাই বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আছে একটি শক্তিশালী তৈরি পোশাক শিল্প এবং অন্যদিকে সার্কুলার ইকোনমি বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের রয়েছে জ্ঞান। এই দুটি একত্রিত করার মাধ্যমে আমরা উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারি। এতে বাংলাদেশ যেমন অধিকতর টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হবে, অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস তার সার্কুলারিটি অভিমুখে অগ্রযাত্রায় একটি মূল্যবান অংশীদার হিসাবে পাবে।’ জিআইজেডের ‘প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টরের’ প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. মাইকেল ক্লোড বলেন, ২০৩০ সালের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৫ সালের ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৬/২০২৯ এ এলডিসি থেকে উত্তোরণ-এগুলো সবই অনেক দূরে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা নিকটে। তিনি আরও বলেন, ‘একটি সার্কুলার ইকোনমির দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হলে যেমন জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রাগুলির প্রতি সচেতন হতে হবে, তেমনি ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতার বিষয়ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’