480
ঢাকাশনিবার , ৮ জুন ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালো টাকা সাদা করার কোনো দাবি ব্যবসায়ীদের ছিল না

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
হাওলাদার সবুর, ঢাকা
জুন ৮, ২০২৪ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে— অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ীদের তিন শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ। তারা বলেছেন, এমন কোনো দাবি অর্থমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়নি। শনিবার (৮ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ এর যৌথ সংবাদ সম্মেলন ব্যবসায়ীরা এসব কথা জানান।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন,বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. আক্তার হোসেন অপূর্ব ও সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ। বিজিএমইএ এর পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক আনোয়ার হোসেন (মানিক), পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক নুসরাত বারী আশা, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর এবং পরিচালক মো. রেজাউল আলম (মিরু)।
বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে’ —আপনাদের পক্ষ থেকে আসলেই এমন কোনো দাবি ছিল কি না? এসময় ওই তিন ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতিই বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমাদের এ সংক্রান্ত কোনো দাবি ছিল না’। ব্যাংক থেকে সরকার লোন নিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না? জানতে চাইলে বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যাংক যখন সরকারকে লোন দেওয়ার সুযোগ পাবে তখন আমাদের দিতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। এতে করে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। আপনারা দেখেছেন, বিগত বছরগুলোতে এমনিতেই বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান বলেন, শুল্ক ০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ নির্ধারণ নতুন বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক বা শিল্পাঞ্চলের বাইরে বিনিয়োগ করার জন্য আরো পাঁচ বছর যেন সময় দেওয়া হয় সেই দাবিও আমরা জানিয়েছি। এই সুযোগ যদি না দেওয়া হয় তাহলে বিনিয়োগে বড় বাধা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না এবং রপ্তানি আয়ও বাড়বে না।
অনুষ্ঠানে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের (ব্যবসায়ীদের) মূল প্রস্তাবগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি উল্লেখ করে বিজিএমইএ) এস এম মান্নান কচি বলেন, বাজেটে শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের এই প্রধান খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হলেও মূল প্রস্তাবগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। তবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনা গুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে যেগুলো বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে না বলে আমরা মনে করছি। সেগুলো হচ্ছে— স্টিল বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব। অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রীর আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ নির্ধারণ। জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব। নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি পঞ্চাশ হাজার টাকার জায়গায় এক লাখ টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকার জায়গায় দশ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব। তিনি বলেন, রিজার্ভের ওপর চাপটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। কোভিড মহামারি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভূ-রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট বিশ্বমন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তাদের কেনার ক্ষমতা কমে এসেছে। একই সঙ্গে পণ্যের দরপতন হয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় ৫ বছরে দফায় দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিল্প একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমাদের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। শুধুমাত্র মে মাসেই কমেছে ১৭ শতাংশ। আমরা মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়েছি, কিন্তু আমাদের মূল্য বাড়েনি। বরং গত ৯ মাসে আমাদের প্রধান পণ্যগুলোর দরপতন হয়েছে ৮ থেকে ১৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক কিছু নীতি সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর ০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল এবং আছে। পাশাপাশি আরও প্রত্যাশা ছিল- বাজেটে ইনসেনটিভের ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা। এগুলো বাজেটে উঠে আসেনি। এটা আমাদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক। শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।