সময় ও চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপস এর মাধ্যমে কলিং ও ভিডিও কল এবং মেসেজ এবং ডকুমেন্ট আদান-প্রদান। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি অ্যাপস ভিত্তিক ব্যবহারকারী রয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সকল অ্যাপসের মান এবং কল করার সময় বা শেষে বিজ্ঞাপনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৯৯% গ্রাহক এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে। প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ বার্তায় সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করে বলেন, গত ১৫ দিনে আমরা প্রায় তিন শতাধিক অ্যাপস ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের কারণ, গুণগতমান ও সন্তুষ্টি এবং বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করলে তাদের মধ্যে থেকে দেখা যায় whatsapp ব্যবহারকারী প্রায় ২৫০ জন, ইমু ব্যবহারকারী শতভাগ, ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী শতভাগ, বাংলাদেশি অ্যাপস আলাপ ব্যবহারকারী মাত্র পাঁচজন, চীনের সাথে ব্যবসা করে এমন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উইচ্যাট ব্যবহারকারী পাওয়া যায় ২০ জন, ভাইবার বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় জনপ্রিয় অ্যাপস হলেও বাংলাদেশের ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য, কাওয়া টক, লাইন, সিগন্যাল, ফেস টাইম, google duet ও হ্যাংআউট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নাই বললেই চলে। প্রবাসী দের কাছে এবং প্রান্তিক ব্যবহারকারী জন গোষ্ঠীর কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপস ইমো, কারণ ইমু ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় না থ্রিজি ফোরজি ইন্টারনেট টু জী ব্যবহার করা যায় ইমু অ্যাপস ব্যবহার করার জন্য।, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই অ্যাপস এ এত বিজ্ঞাপন চলে আসে যা পরবর্তীতে হ্যান্ডসেট বন্ধ করতেও বিড়ম্বনায় পড়ে যায় গ্রাহক। এমনকি অনেক গ্রাহকের ভিতর আতঙ্ক বিরাজ করে যে তার হ্যান্ডসেট টি ম্যালুয়ার যুক্ত হল কিনা। আবার অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারকদের বা হ্যাকারদের আধিপত্য নিয়েও এখানে গ্রাহকরা ভীতির মধ্যে থাকে। এ সকল বিজ্ঞাপনের তথ্য এবং রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস এবং জনপ্রিয় whatsapp messenger হলেও এই অ্যাপসে কল করতে প্রয়োজন হয় দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান ইন্টারনেটের মান এতটাই নিম্নগামী যে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে কল করতে এবং কি মেসেজ ও ডকুমেন্ট পাঠাতে গ্রাহকরা বিরম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহক। তাদের বক্তব্য হচ্ছে অনেক সময় একাধিক বার কল দেওয়ার পর সংযোগ পাওয়া যায়, আবার সংযোগ পাওয়ার পর দেখা যায় অপর প্রান্ত থেকে কথা শোনা যাচ্ছে না কিংবা অপর প্রান্ত থেকে শুনলেও কল করা ব্যক্তি শুনতে পাচ্ছে না। আবার মাঝখানে হ্যাং হয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অন্যদিকে একটি এক মিনিটের ভিডিও বা একটি পিডিএফ ফাইল পাঠাতেও বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বর্তমান চাহিদা ও প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস আলাপকে ইমুর আদলে পাশাপাশি চীনের wechat এর সমকক্ষ একটি অ্যাপস তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। যার মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন কলিং ভিডিও কল ফাইল আদান প্রদান এবং ক্যাশলেস লেনদেন করা এবং রাষ্ট্রের সকল সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে দেশের জনগণ।