প্রতি বছর ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। কোরবানি ঈদের আগে রিজার্ভ সামান্য বাড়লেও ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনযায়ী, গত ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ মে গ্রস রিজার্ভ নেমেছিল ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই।
সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন মন্দ সূচকে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত কয়েক মাসে কিছু পদক্ষেপ নিলেও রিজার্ভ প্রতিমাসেই কমছে। এজন্য বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য না থাকাকেই দায়ী করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশে ২০২১ সালের অগাস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। করোনা পরবর্তী সময়ে হুট করে আমদানি ব্যয় ব্যাপক বেড়ে গেলে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। এরপর আর কখনোই এটিকে উর্ধ্বমূখী করা যায়নি।
এদিকে রিজার্ভ নিয়ে এসব আলোচনার মধ্যেই সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলো, নতুন করে কোন রিজার্ভ চুরির ঘটনা আর ঘটেনি। ভারতীয় একটি অনলাইনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে ওই বিবৃতিতে দেয়া হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দশ কোটি দশ লাখ ডলার চুরি করেছিল হ্যাকাররা। চুরি হওয়া এই অর্থের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র তিন কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জোনায়েদ মানসুর, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫৬ পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০। রেজিস্টার্ড : ২৯২ ভূইয়া পাড়া প্রধান সড়ক, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯। সম্পাদকীয়: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, বার্তাকক্ষ : ০১৯১৩৫৫৫৩৭১। ই-মেইল: inextpr@gmail.com , (বিজ্ঞাপন), newsuddokta@gmail.com (বার্তাকক্ষ)