480
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ মে ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প
  4. অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প-ব্যাংক-বীমা-নন ব্যাংক
  5. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  6. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  7. উদ্যোক্তা-জীবনী
  8. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  9. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  10. গণমাধ্যম
  11. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  12. জনশক্তি ও পর্যটন
  13. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  14. জাতীয়
  15. দুর্ঘটনা-শোক-দুর্যোগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জলবায়ু অভিযোজনে বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
হাওলাদার সবুর, ঢাকা
মে ১৬, ২০২৪ ১০:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজনে বছরে প্রয়োজন ৮ বিলিয়ন ডলার। সরকার জলবায়ু অভিযোজন কর্মকান্ডের জন্য প্রতি বছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। তাই অতিরিক্ত অর্থ আমাদের সংগ্রহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘অ্যাপ্লিকেশন অব কার্বন ফাইন্যান্সিং: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড পলিসি অপশনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮ শতাধিক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৩০০ নতুন প্রজেক্ট অনুমোদিত হয়েছে। এ অর্থ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমাদের দেশে ৬ মিলিয়নের বেশি সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। আমি যদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাই যে, এই ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের কতগুলো কার্যকর আছে, তারা হয়ত বলতে পারবে না। এগুলো এখন অনেকটাই কার্যকর নেই।
সেমিনারে বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত আ ফ ম গৌসল আজম সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। ‘কার্বন অর্থায়নের পথ: বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্যতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সাল, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও আলমগীর মোর্শেদ, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজিএমইএর ডিরেক্টর শামস মাহমুদ প্রমুখ।
সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইউন জু অ্যালিসন ইয়ি গ্রিন গ্রোথ ফ্রেমওয়ার্কের জন্য ৯ টি পলিসি নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, দেশের সামনে আসন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবেশগত শাসন ও জবাবদিহি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাণিজ্যিক স্বাধীনতা নিশ্চিত, সবুজ পরিবহনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক সিস্টেম উন্নত করতে হবে।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বর সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারীদের মধ্যে অন্যতম। তবে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কার্বন অর্থায়ন এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হতে পারে। এটি কার্বন নির্গমনের জন্য একটি আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করে এবং টেকসই উদ্যোগের দ্বারা উৎপাদিত কার্বন ক্রেডিট ক্রয় করতে ইচ্ছুক ব্যবসাগুলোকে সক্ষম করে। ২০০৬-২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আইডিসিওএল ইউএস ডলার ১৬.২৫ মিলিয়নের সমতুল্য ২.৫৩ মিলিয়ন কার্বন ক্রেডিট বিক্রি করেছে যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞ আলোচকরা সার্বিক নীতি-নির্ধারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।