আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে আড়াই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন এই দাম আজ ১ মে (বুধবার) থেকেই কার্যকর হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাইসিং ফর্মুলায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অকটেনের দাম ১২৬ থেকে আড়াই টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ দাম ১ মে হতে কার্যকর হবে।
পর পর দুইবার জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর এবার দাম বাড়লো। এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কমানো হয়েছিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম, তবে অপরিবর্তিত ছিল অকটেন ও পেট্রোলের দাম। এপ্রিলে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা, কেরোসিন ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা সমন্বয় করা হয়েছিল।
এর আগের মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১২২ টাকা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপি (১ ভারতীয় রুপি=১.৪৪ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০ টাকা ৬৯ পয়সা) এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৯ টাকা ৬৭ পয়সা) বিক্রয় করা হচ্ছে। সে হিসেবে দেশের জ্বালানি তেল পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পাচারের শঙ্কা নেই।