আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তি ছাড়ার পূর্বে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। এমন সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে বাজাভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অর্থনীতির আঞ্চলিক পূর্বাভাস দিয়ে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুদ্রা বিনিময় হার ‘বাজারভিত্তিক’ করার পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ আর্থিক হিসাব ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাবে। ‘আইএমএফ‘স রিজিয়নাল ইকোনোমিক আউটলুক অ্যান্ড এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’’ এর প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবা সম্মেনে তিনি এমন কথা বলেন।
এর আগে ২০২২ সালের প্রথম দিকে আইএমএফ’র কাছে ঋণের আবেদন করার পর থেকেই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ বাড়াতে ঋণ চুক্তিতে আসার পর থেকে আর্থিক খাতের বিভিন্ন নীতি সংস্কারের পরার্ম দিয়ে আসছে আইএমএফ।
গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে নানামূখী উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার পরও রিজার্ভ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, আগামী জুনের মধ্যে বিনিময় হার পুরোপুরো বাজারমূখী হবে। কিন্তু ঘোষণার বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
আর্থিক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হার বাজারমূখী করতে আইএমএফর পরামর্শ আছে চুক্তির শর্তে। গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেই ডলারের দর র্নিধারণ করে আসছে সংগঠন দুটি। গত জানুয়ারিতে মুদ্রানীতি ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এবিবি ও বাফেদার উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি হচ্ছে ৮৩৬ কোটি ডলার। এ ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি।
অন্যদিকে চলতি হিসাবে ঘাটতি পূরণ করে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। গত ফেব্রুয়ারি শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ কোটি ডলার।
এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, নিউইয়র্ক ফেডের সুদহার বৃদ্ধির বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত হবে বিষয়টিতে সতর্ক থাকা। স্থানীয় পণ্যর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তদারকি করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জোনায়েদ মানসুর, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫৬ পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০। রেজিস্টার্ড : ২৯২ ভূইয়া পাড়া প্রধান সড়ক, খিলগাঁও, ঢাকা- ১২১৯। সম্পাদকীয়: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, বার্তাকক্ষ : ০১৯১৩৫৫৫৩৭১। ই-মেইল: inextpr@gmail.com , (বিজ্ঞাপন), newsuddokta@gmail.com (বার্তাকক্ষ)