একীভূত প্রক্রিয়ায় চাকরি হারানোর আগেই পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি উদ্যোক্তা বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি পক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গতবছরের সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেছিলেন তারেক রিয়াজ । তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তখন আবার পদ্মা ব্যাংকে ফেরেন তিনি।
বর্তমানে শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত এক্সিমের সঙ্গে একীভূত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী একীভূত হওয়ার পর চাকরি হারাতেন পদ্মা ব্যাংকের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।
তিনি যাচ্ছেন এনআরবি ব্যাংকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর তিনি এনআরবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেবেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনআরবি ব্যাংকের এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ, এরপর থেকে ব্যাংকটি ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চলছে।
পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘যেহেতু পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে, তাই পদত্যাগ করেছি। নতুন কোনো ব্যাংকে যাওয়া যায় কি না, সেটা দেখছি।’
জানা গেছে, শিগগিরই এনআরবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেবেন তারেক রিয়াজ খান। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির পর্ষদ তার নিয়োগ অনুমোদন করেছে।
তারেক রিয়াজ খান ২০২২ সালের মার্চে পদ্মা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ডিএমডি ছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী দূর্বল ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডিরা বিদ্যমান চাকরিতে থাকতে পারবেন না।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় কয়েকটি দূর্বল ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ চলমান আছে। এ উদ্যোগের প্রথম ধাপ হিসেবে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক দু’টির মধ্যে সমঝোতা স্মরক সইয়ের পর এরই মধ্যে সম্পদ মূল্যায়নে বহিঃনিরীক্ষ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া সোনালীর ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএল, বাংলাদেশ কৃষির সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, সিটির সঙ্গে বেসিক এবং ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল একীভূত হতে বলা হয়েছে। আরও কয়েকটি ব্যাংক আলোচনায় থাকলেও আপাতত নতুন কোনো ব্যাংকের আবেদন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।